ক্রিকেট ইতিহাসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রায় দিনই কিছু না কিছু ঝামেলা হতেই থাকে। আজ আপনাদের আমরাও এই বিশেষ প্রতিবেদনে সেই তিনটি ঘটনার ব্যাপারে জানাতে চলেছি যখন ক্রিকেটারদের অনলাইন চ্যাট লীগ হয়ে গিয়েছিল, আর এই লীক চ্যাটের পর এই তিন খেলোয়াড়ই মুশকিলে পড়ে গিয়েছিলেন।
মহম্মদ শামি
ভারতীয় দলের জোরে বোলার মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান মহম্মদ শামির উপর অন্য মেয়েদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ার গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। সেই সঙ্গেই হাসিন জাহান ভারতীয় তারকা মহম্মদ শামির উপর পারিবারিক হিংসা আর অ্যাটেম টু মার্ডারের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। হাসিন জাহান শামি এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি পুলিশ স্টেশনে এফআইআর করেছিলেন, যেখানে ভারতীয় দলের জোরে বোলার মহম্মদ শামির উপর পণের জন্য অত্যাচার, পারিবারিক হিংসা, খুনের চেষ্টা, হুমকী আর ষড়যন্ত্র সমেত বেশকিছু অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ আর মিডিয়াকে নিজের কথা প্রমান করার জন্য হাসিন জাহান অন্য মহিলাদের সঙ্গে মহম্মদ শামির কথিত কথাবার্তার বেশকিছু স্ক্রীনশট প্রকাশ করেছিলেন।
শাহিন আফ্রিদি
পাকিস্তানের তরুণ জোরে বোলার শাহিন আফ্রিদির পার্সোনাল ভিডিয়ো চ্যাট ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। একজন অজ্ঞাত ইউজার শাহিনের ব্যক্তিগত চ্যাটের স্ক্রীনশট শেয়ার করেছিলেন। ফেরিহা নামের একটি মেয়ে নিজের টুইটে লিখেছিলেন, “শাহিন আফ্রিদি পরবর্তী বড়ো মাছ। ও সবসময়ই মাঠে দুর্দান্ত প্রদর্শন করতে কেনো ব্যর্থ থেকেছে? ও সবসময় মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে ব্যস্ত থাকে। নিজের স্ট্যাটাস আর শক্তির ব্যবহার মেয়েদের আকর্ষণ করার জন্য করেন আর তারপর তাদের শরীরের সঙ্গে খেলেন। আরো বেশি জিনিস দ্রুতই আপলোড করা হবে”।
ইমাম উল হক
২০১৯ বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের তারকা খেলোয়াড় ইমাম উল হকের কিছু মেয়েদের সঙ্গে কথা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয়েছিল। ইমাম উল হককে নিয়ে এই খোলসা একজন টুইটার ইউজার করেছিলেন। যেখানে ওই ইউজার ইমাম উল হকের কিছু মেয়েদের সঙ্গে করা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রীনশটকে ভাইরাল করে দিয়েছিলেন। সবচেয়ে লজ্জাজনক বিষয় হলো যে ইমাম উল হক মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে আর বাচ্চাদের মতো কিছু কথা বলতেও পাওয়া গিয়েছিল। যেখানে এই তিনজন মেয়েদের সঙ্গে ইমমা নিজের সম্পর্ক ভাঙার কথা বলেছিলেন। তো অন্যদিকে এই মেয়েরাও এই টুইটার ইউজারকে ইমাম উল হকের দ্বারা প্রতারণার করার কারণে তাকে নিজেদের চ্যাটিংয়ের স্ক্রীনশট দিয়েছিলেন।