আর মাত্র কিছু দিনের অপেক্ষা তারপরেই শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022)। এই কাপের চাহিদা এতটা বেড়ে যাবার পেছনে কারণ হলো গতবারের এশিয়া কাপ করোনা মহামারীর কারণে ভেস্তে যাবার জন্য। এছাড়াও এশিয়া কাপের কদর এই বছর আরো বেশি তার কারণ হলো দীর্ঘ্য সময় পরে আবার ক্রিকেটীয় ফ্যানরা ক্রিকেট ইতিহাসের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দুই দল ভারত এবং পাকিস্তানের ডার্বি ম্যাচ দেখতে চলেছে। বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সমস্থা আইসিসি এই বছরেই শুরু হতে চলা t20 বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আসন্ন এশিয়া কাপ সব থেকে ছোট এই ফরম্যাটেই খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বছর এশিয়া কাপের আসর প্রথমে শ্রীলংকার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সেই দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এবং আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে দুবাইয়ের মাটিতে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেট ইতিহাসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি এই দুই দলের ম্যাচ বিশ্বের প্রতিটা কনের ক্রিকেট প্রেমীদের মনে এক আলাদা আড়োলনের সৃষ্টি করে থাকে এবং ভারত পাক ম্যাচ মানেই ক্রিকেট বিশারদ থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সবার মনেই চাপা উত্তেজনার জন্ম দিয়ে থাকে। ক্রিকেট ইতিহাসের এই ডার্বি ম্যাচ এমন সংশয়াজনক হয়ে থাকে যে ম্যাচের শেষে কে শেষ হাসি হাসবে তা দেখার জন্য শেষ ওভার অব্ধি অপেক্ষা করতে হয়। অতীতে এশিয়া কাপের ইতিহাসে এই রকম বহু ম্যাচের সাক্ষী ক্রিকেট বিশ্ব বহুবার থেকেছে বলেই আমরা জানি। এই বছরেও ভারতীয় দল তাদের এশিয়া কাপের অভিযান শুরু করতে চলেছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৮আগস্ট,তাই সেই দিনে আবার কোনো নতুন রেকর্ড এবং এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখার আশায় প্রতিটা ক্রিকেটপ্রেমী আবার নিজেদের পছন্দের দলকে সাপোর্ট করার জন্য গলা ফাটাবে বলেই মনে করা যাচ্ছে। আমরা এখানে এশিয়া কাপের ইতিহাসে অতীতে ঘটে যাওয়া এমন ৩টি ভারত পাক ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করবো যা এখনো স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।
২০১৬ এশিয়া কাপের ভারত পাক ম্যাচ:
স্মরণীয় ম্যাচ গুলির মধ্যে প্রথমেই আসে ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের এই ম্যাচ। বাংলাদেশের শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে পাকিস্তান দল টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নামে। ম্যাচের শুরু থেকেই ভারতীয় বোলিং বিভাগ তাদের অসাধারণ বোলিং পারফর্মেন্স দেখিয়ে মাত্র ৮৩রানের মধ্যে পাকিস্তান দলকে অল আউট করে দেয় এবং পাকিস্তান দল মোট ২০ ওভার অব্ধি ব্যাট করার সুযোগ পায়নি। পাকিস্তানের এই রান দেখে সবাই মনে করেছিলেন শক্তিশালী ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কাছে এই রান সংখ্যা কিছুই নয় এবং তারা খুব তাড়াতাড়ি এই ম্যাচ জিতে যাবে। কিন্তু সমস্ত ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে বাঁহাতি পাকিস্তানী ফাস্ট বোলার মোহাম্মাদ আমির তার পেস বোলিংয়ের জাদু দেখিয়ে প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মা এবং রাহানে কে ফিরিয়ে দেন এবং এর অল্প পরেই রায়না আউট হয়ে যাওয়াতে ভারতীয় দল ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মূখীন হয়। ভারতীয় দল যখন ৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় ঠিক তখুনি ব্যাট হাতে মাঠে নামে বিরাট কোহলি এবং তিনি আমিরের আগুনে বোলিং সামলে অসাধারণ ৪৯ রানের এক ইনিংস উপহার দিয়েছিলে। এছাড়াও তার ব্যাটিং দৌলতে ভারতীয় দল সেই ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতেছিল।