যখনই ভারত আর পাকিস্থানের মধ্যে কোনও ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই ম্যাচের রোমাঞ্চ এবং ভীড় দুটোই চরমে থেকেছে। তা সে যতই দুই দেশের মধ্যে গত বেশ কিছু বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ হয়ে যাক না কেন। কিন্তু ৯০ দশকে ভারত আর পাকিস্থানের মধ্যে বেশ কিছু বিতর্কিত ম্যাচ খেলা হয়েছে।
এমনই একটি ম্যাচ হয়েছিল ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। যখন পাকিস্থান ভারতে এসেছিল এবং কলকাতার ইডেন গার্ডেনে এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচ খেলা হয়েছিল। পাকিস্থান প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রান করে এবং জবাবে ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্থানের ওপেনার সঈদ আনোয়ারের ১৮৮ রানের সৌজন্যে পাকিস্থান ৩১৬ রান তুলে দেয়। সেই সময় ভারতের ম্যাচ জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭৯ রানের। ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ জেতার জন্য মাঠে নামেন। ভারতীয় দলের শুরুয়াতও ভালই হয়েছিল, ভিভিএস লক্ষ্মণ ৬৭ রানে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। কিন্তু দ্রুতই তিন উইকেট পড়ে যাওয়ায় শচীন তেন্ডুলকর মাঠে নামেন। এই সময় শচীনের ব্যাট আগুন ঝরাচ্ছিল। তেন্ডুলকরের উপর সমস্ত লোকেরই ভরসা ছিল, কিন্তু তিনি মাত্র ৯ রান করেই রান আউট হয়ে যান।
এই রান আউটটি সামান্য ছিল না। কারণ পাকিস্থানী জোরে বোলার ইচ্ছে করে শচীনের রাস্তায় এসে দাঁড়ান যার ফলে তিনি ক্রিজে পৌঁছতে পারেন নি। এরপর থার্ড অ্যাম্পায়ার শচীনকে আউট দিয়ে দেন। যারপরেই ভারতীয় দর্শকরা হাঙ্গামা করতে শুরু করেন। এটা এতটাই বেড়ে যায় যে ম্যাচ মাঝ পথে থামিয়ে দিতে বাধ্য হতে হয়। পরে শচীন পুলিশের সঙ্গে দর্শকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু কেউই শোনার মত অবস্থায় ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত গ্রাউন্ড স্টাফ এবং পুলিশ মিলে স্টেডিয়াম খালি করে পুরো ম্যাচ খেলানো হয়। এবং ভারত ওই ম্যাচ শেষ অব্ধি ৪৬ রানে হেরে যায়।
যখন শোয়েব আখতার করেছিলেন শচীন তেন্ডুলকরের সঙ্গে বেইমানি, তখন দর্শকরা করলেন এমন কিছু যে খালি স্টেডিয়ামে খেলতে হয় ম্যাচ
