ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন প্রধান কোচের সঙ্গেই বিসিসিআই সাপোর্ট স্টাফদের জন্যও আবেদন চেয়েছিল। এতে ব্যাটিং কোচ, বোলিং কোচ আর ফিল্ডিং কোচ প্রধান্ত। প্রধান কোচের নির্বাচনের জন্য সিএসসির গঠন করা হয়েছে, অন্যদিকে অন্যান্য পদের জন্য প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ ইন্টারভিউ নেবেন।
ব্যাটিং কোচের জন্য এই নাম
ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচের জন্য বেশ কিছু বড়ো নাম আবেদন করেছেন। বিদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রট আর মার্ক রামপ্রকাশের সঙ্গেই শ্রীলঙ্কার থিলন সমরবীরার নাম রয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় নামের মধ্যে অমল মজুমদার, প্রবীন আমরে, ঋষিকেশ কানিতকার আর বিক্রম রাঠোর সহ ১২জন শামিল রয়েছে। বর্তমান ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গারের নামও এর মধ্যে শামিল রয়েছে, কিন্তু তার পদ থেকে সরা নিশ্চিত দেখাচ্ছে।
এর দাবী সবচেয়ে মজবুত
ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচের জন্য সবচেয়ে প্রবল দাবীদার পাঞ্জাবের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান বিক্রম রাঠোরকে মনে করা হচ্ছে। তিনি এর আগে ভারতীয় দলের নির্বাচকও থেকেছেন। আর রাহুল দ্রাবিড়ও তাকে এনসিএতে শামিল করার দাবী জানিয়েছিলেন। ব্যাটিং কোচের জন্য বোর্ডের মত পরিস্কার যে তাদের ভারতীয় কোচই চাই। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার মতে নিজেদের মধ্যে কমিউনিকেশন এর সবচেয়ে বড়ো কারণ। এই অবস্থায় বিদেশী খেলোয়াড়দের কোচ হিসেবে নির্বাচন প্রায় অসম্ভবই দেখাচ্ছে।
কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের মামলাও
বিক্রম রাঠোর কে দুবার এনসিএর জন্য বাছা হয়েছিল কিন্তু দুবার কনফ্লিক্টস অফ ইন্টারেস্টের মামলার কারণে তার নিযুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা লেগেছিল। এর সঙ্গেই এই কারণে তিনি ইন্ডিয়া এ দলের ব্যাটিং কোচও হতে পারেননি। এব্যাপারে টাইমস অফ ইন্ডীয়ার সোর্স জানিয়েছেন,
“সিওএ, যদিও কখনো নির্দিষ্ট করেনি যে সংঘর্ষটা কি। সেটা কি বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে সম্পর্কিত? এটা কিভাবে একটা সংঘর্ষ? এটা স্রেফ এই জন্য যে আপনি কারও সঙ্গে সম্পর্কিত? আপনার যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতার কোনো প্রভাব পড়ে না?”