ক্রিকেটের যে কোনও ফর্ম্যাটেই উইকেটকীপারদের সহজে বল করতে দেখা যায় না। উইকেটকীপাররা ব্যাট হাতে মাঠে নামলেও সাধারণত কখনও আমরা তাদের বল করতে দেখি না। কারণ ম্যাচ জেতার জন্য প্রত্যেক দলেই থাকে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ বোলার। কিন্তু আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেই পাঁচ উইকেট কীপারের নাম জানাব যারা দলের প্রয়োজনের সময় উইকেটকীপিং ছেড়ে বল হাতে দলের হয়ে উইকেট নিয়েছেন। চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত ক্রিকেটারদের।
মার্ক বাউচার (টেস্ট ক্রিকেট)
মার্ক বাউচার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিন আফ্রিকার মধ্যে ২০০৫ এ খেলা অ্যান্টিগা টেস্ট চলাকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান ডোয়েন ব্র্যাভোর উইকেট নিয়েছিলেন। ড্রয়ের দিকে এগোনো এই টেস্ট ম্যাচে যখন বাউচারের হাতে বল তুলে দেওয়া হয় তখন বাউচার ব্র্যাভোকে অ্যাশলে প্রিন্সের হাতে ক্যাচ আউট করান। ওই টেস্ট বাউচার ১.২ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
তাদেন্দা তাইবু (ওয়ানডে)
তাদেন্দা তাইবু ২০০৫ এ শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবোয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি ওয়ানডে ম্যাচে দুই উইকেট নিয়েছিলেন। তিনি ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান থিলন কদম্বী এবং উপুল চন্দনাকে আউট করেছিলেন। তিনি ওই ম্যাচের নিজের নির্ধারিত ১০ ওভারে একটি মেডেন ওভার সহ ৪২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন।
দেওয়ান ভামোস (ওয়ানডে)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটকীপার দেওয়ান ভামোসও ২০০৯ এ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলে মাহমুদুল্লা এবং মুশফিকু রহিমের মত ব্যাটসম্যানদের আউট করেছিলেন। দেওয়ান ভামোস ওই ওয়ানডে ম্যাচে নিজের ১.১ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ওই দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
তাদেন্দা তাইবু (আরও একবার টেস্ট ক্রিকেটে)
তাদেন্দা তাইবু ২০০৪ এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি টেস্টে সনৎ জয়সূর্যর মত ব্যাটসম্যানের উইকেট নেন। ওই টেস্টে তাইবু মোট ৪ ওভার বোলিং করেছিলেন। ওই ম্যাচে তিনি মোট ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। জয়সূর্যকে তিনি ডগলাস হোন্ডুর হাতে ক্যাচ আউট করান। যদিও তা সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা ওই ম্যাচ এক ইনিংস এবং ২৪০ রানের ব্যবধানে জিতে নেয়।
এম এস ধোনি (ওয়ানডে)
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিস্ফোরক উইকেটকীপার ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০০৯ এ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন ওয়ান ডে ম্যাচে উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ান ডেতে ধোনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান টিএম ডোলিনকে বোল্ড করে দেন। ওই ম্যাচে ধোনি মোট ২ ওভার বোলিং করে ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট হাসিল করেছিলেন।