বাংলার সামনে নক আউটে যাওয়ার সুযোগ! 1

বাংলার সামনে নক আউটে যাওয়ার সুযোগ! 2

পাঞ্জাবকে হারানোর সুযোগ বাংলার সামনে। আশা জাগল নকআউটে ওঠারও। রঞ্জি ট্রফির অ্যাওয়ে ম্যাচে পাঞ্জাবকে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৭ রানে আল আউট করে দিল বাংলা। তারপর ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতেও যথেষ্ট সাবলীল বাংলার দুই ওপেনার। দিনের বাংলার রান ৭৬-০। ক্রিজে রয়েছেন বাংলার দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান অভিষেক রামন ৪২ এবং অভিমন্য ঈশ্বরণ ৩৩। পাঞ্জাবের প্রথম ইনিংস থেকে বাংলা পিছিয়ে মাত্র ৭১ রানে। বাংলার এই বোলিং সাফল্যের পেছনে রয়েছে এত দিন দলে ব্রাত্য থাকা দুই বোলার। বাঁ হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামানিক এবং অলরাউন্ডার পেস বোলার বি অমিত। এই দু’জনই বাংলাকে প্রয়োজনীয় সাফল্য এনে দেয় তিনটি করে উইকেট নিয়ে। বাংলাকে সামলাতে ঘুর্নি পীচের আয়োজন করেছিল পাঞ্জাব। আপাতত নিজের সেই ফাঁদেই ভরাডউবি হল তাদের। শুক্রবার অমৃতসরের গান্ধী ময়দানে টস জিতে পাঞ্জাব প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বাংলার সামনে নক আউটে যাওয়ার সুযোগ! 3

তাদের সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমানিত করে তাদের বিপদে ফেলে দেন বাংলার বোলাররা। বিশেষ করে অমিত এবং প্রদীপ্ত। প্রথম ৯ ওভারে পাঞ্জাবের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৩১ রান। এরপরই পেস এবং স্পিনের জোড়া আক্রমনে নাভিশ্বাস ওঠে পাঞ্জাবের ব্যাটসম্যানদের। পরের মাত্র ২০ রানের মধ্যে তাদের ৩ ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান প্রদীপ্ত এবং অশোক দিন্ডা। ঠিক তার পরেই পাঞ্জাব শিবিরে আঘাত হানেন ঈশান পোড়েল এবং বি আমিত। হরভজনকে আউট করেন আমিত। পাঞ্জাব ক্রিকেট সংস্থা বাংলার সঙ্গে এই ম্যাচটি ঘূর্ণি পিচের আশায় মোহালি থেকে সরিয়ে নিয়ে যান অমৃতসরে। কিন্তু বুমেরাং হয়ে যায় তাদের সেই সিদ্ধান্ত। দিনের নায়ক প্রদীপ্তর সঙ্গে অমৃতসরে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “কোচ এবং অধিনায়ক আমাকে আমার স্বভাবিক বোলিং করতে বলেছিলেন। কোনো চাপ না নিয়ে আমি শুধু সেটাই করেছি।

বাংলার সামনে নক আউটে যাওয়ার সুযোগ! 4

শুরুতে একটু নার্ভাস থাকলে উইকেট পাওয়ার পর আমার উপর থেকে অনেকটাই চাপ কমে যায়। আমার প্রথম ম্যাচেই দলের জন্য কিছু করতে পেরে ভাল লাগছে তবে এই ম্যাচটা জিততে পারলে আরও ভালো লাগবে”।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *