কোনওভাবেই আর স্ত্রী হাসিন জাহানের সঙ্গে তার মিটামাট সম্ভব নয়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে স্পষ্টত একথা জানিয়ে দিলেন জাতীয় দলের জোরে বোলার মহম্মদ শামী। গত এক সপ্তাহ ধরে হাসিনের একের পর এক অভিযোগে রীতিমতো বিধ্বস্ত ভারতীয় দলের এই তারকা জোরে বোলার। তার বিরুদ্ধে স্ত্রী বহু অভিযোগ করা সত্ত্বেও বারবার হাসিনের কাছে মিটমাটের প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন এই জোরে বোলার। কিন্তু হাসিনের পক্ষ থেকে মিটামাট তো দূর নূন্যতম নরম মনোভাব পান নি এই তারকা। এবার এক সর্বভারতীয় প্রচার মাধ্যমে শামী জানিয়ে দিলেন, “ প্রাণপনে চেষ্টা চালিয়ে গেছি আমার পরিবারের ভবিষ্যৎ রক্ষা করার জন্য। কিন্তু হাসিন আমাদের এই সম্পর্ককে কোর্ট অব্ধি টেনে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর হয়েছে। আমি পরিবারের জন্য যে কোনও কিছু করতে রাজি ছিলাম”।
এরপরই বিষন্ন হয়ে যান শামী। স্পষ্টত হতাশ গলায় জানান, “ গত সাতদিন ধরে আমার পরিবারের সদস্যরা কলকাতায় রয়েছে। কিন্তু হাসিনের পরিবার থেকে আমরা কোনও রকম কিছু সাড়া পাই নি। আর যে কোনও আশা বেঁচে নেই তা এতেই অনেকটা পরিস্কার। হাসিনের সঙ্গে মিটমাটের আর কোনও রকম কোনও সম্ভবনাই নেই”। হাসিন নিজের ভাশুর তথা শামীর দাদার বিরুদ্ধেও এনেছেন ধর্ষণের অভিযোগ। শামীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তারও উত্তর দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “ আমার কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার মত সমস্ত নথিই রয়েছে। দিল্লিতে ডিসেম্বরের ২ থেকে ৬ তারিখ টেস্ট চলছিল। সেই সময় ভুবনেশ্বরের রিসেপশনেও আমরা হাজির ছিলাম তাজ হোটেলে”। আরও খোলসা করে সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে শামী বলেন, “সেদিন আমি একটা স্লিভলেস জ্যাকেট পরে ছিলাম। ডিসেম্বরের ৭ তারিখ সকাল দশটায় বেরিয়ে আসি। আর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আমরা পৌঁছই শহরে। হাসিন সেদিনই আমার দাদার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে”।
হাসিনের ওই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই তা সোজাসুজি জানিয়ে দেন শামী। তিনি আরও বলেন, “ হাসিন ওই দিন আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পিং করে জানতে চায় যে কেন আমি স্লিভলেস জ্যাকেট পরেছি। আর আমার দাদা আমাদের সঙ্গে থাকেই না। ফলে ও কোনওভাবেই এই ঘটনায় আসতেই পারে না”। অন্যদিকে বিসিসিআই তাদের দুর্নীতি দমন শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে শামীর বিরুদ্ধে ওঠা ক্রিকেটিয় অভিযোগের তদন্ত করতে, সেই সঙ্গে আগামি এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই তদন্তের রিপোর্টও জমা দিতে বলা হয়েছে ওই তদন্তকারী দলকে।