সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ চলতি আইপিএলের নিশ্চিতভাবেই তাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের অভাব বোধ করছে। তবে সানরাইজার্সের থেকেও বেশি অভাববোধ করছেন স্বয়ং ডেভিড ওয়ার্নার ২২ গজের পিচকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর বিসিসিআইও তার আইপিএলে অংশ গ্রহন নিষিদ্ধ করেছিল। এবার এমনকী তার আইপিএল দলকে সমর্থন জানাতে তার ভারতে আসার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যার ফলে বহু ক্রিকেট ভক্তই হতাশ হবেন। প্রসঙ্গত গত মাসেই বল বিকৃতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়ে গোটা ক্রিকেট বিশ্বই। ওয়ার্নারের সঙ্গে তার সতীর্থ স্টিভ স্মিথ এবং ক্যামেরুন বেনক্রফটের মত ক্রিকেটারকেও ঐ নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই নিষিদ্ধ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কেপটাউন টেস্টের ওই ঘটনার অন্য ক্রিকেট ভক্তদের পাশাপাশি দেশের কাছেও ক্ষমা চান ওই তিন ক্রিকেটার। এই মুহুর্তে ওয়ার্নার ভীষণই মিস করছেন আইপিএলকে।
এতটাই যে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের আইপিল জার্সি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান তাদের ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্টে চলাকালীন তাতে মন্তব্যও করেন এই ক্রিকেটার। ওই মন্তব্যে ওয়ার্নার ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন যে যে কোনও সময়ই তিনি আইপিএল চলাকালীন ভারতে এসে দর্শকাসনে বসে দলকে সমর্থন জানাবেন। কিন্তু সম্প্রতি ‘স্রুজানা কোনাকাঞ্চি’ নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী ওয়ার্নার এবং তার স্ত্রী ক্যান্ডিকের টুইটার চ্যাট প্রকাশ করেছেন। ওই চ্যাটে ক্যান্ডিক ওয়ার্নারকে জানান যে বিসিসিআই তার ভারতে আসা এবং দলকে সমর্থন জানানোর আবেদনকে নামাঞ্জুর করে দিয়েছে। ওই চ্যাটে ক্যান্ডিক লেখেন, “ ও সেখানে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু বিসিসিআই তাকে দুর্ভাগ্যবশত ওখানে গিয়ে খেলা দেখতে মানা করেছে। আগামি বছর ও আবার ফিরে আসবে। এমনকী ভীষণই হতাশ হয়ে পোড়েছে ও। কারণ ও চেয়েছিল যে দলকে ও ভালবাসে সেই দলকে ওখানে গিয়ে সমর্থন জানাতে”।
ওয়ার্নারকে আইপিএলে এসে খেলা দেখতে আটকে দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট অবাক করার মতই ব্যাপার। তবে সম্ভবত বিসিসিআই হয়ত চায় নি যে শেষ মুহুর্তে ওয়ার্নারের উপস্থিতি কোনও বিতর্কের জন্ম দিক। কিন্তু এটা ওয়ার্নারের প্রতি অন্যায়ই বলা চলে যে তাকে ভারতে এসে আইপিএলে তার দলকে সমর্থন জানাতে দেওয়া হচ্ছে না।