পাকিস্থানের জাতীয় টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শেষে সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিলেন বিতর্কিত অফ স্পিনার সইদ আজমল।
উইজডেন ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাওয়ালপিন্ডীতে চলা একটি টুর্নামেন্টের মাঝে চলা বিরতিতে আজমল জানান, “ এই জাতীয় ইভেন্টই আমার জীবনের শেষ টুর্নামেন্ট এবং আমি আর কোনো দলের জন্যই বোঝা হতে চাই না। শেষ দিকের এই সময়টা দারুণ হতাশার। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে কেউ আমার নির্বাচন নিয়ে আঙুল তোলার আগেই আমি সরে যেতে চাই, এবং এটাই আমার শেষ সিদ্ধান্ত”। ২০০৯ এ তার অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রথম অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু এর কিছু পরেই তিনি ক্লীন চিট পেয়ে যান। সে বছরই তিনি ইংল্যান্ডে টি২০ বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেন পাকিস্থানি দলকে। যা ১৯৯২ ওয়ার্ল্ডকাপের পর পাকিস্থানের প্রথম বড়ো আইসিসি খেতাব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেরীতে শুরু করা আজমলের বয়েস এখন ৪০। ২০১৪য় আজমলকে তার বোলিং অ্যাকশন শোধরাতে হয়। যা তার উইকেট নেওয়ার ক্ষমতাকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছিল। বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর আগে পর্যন্ত আজমল বিশ্বক্রিকেটের সেরা স্পিনারদের একজন ছিলেন। এবং ২০১১র নভেম্বর থেকে ২০১৪ র ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি আইসিসি র্যা ঙ্কিংয়ে একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বর বোলার ছিলেন। তার অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য আইসিসি দ্বারা ব্যান হওয়ার পর তিনি সাকলিন মুস্তাকের পর্যবেক্ষণে একটি সংশোধন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজের বোলিং নিয়ে তিনি সেই পুরোনো ম্যাজিক তৈরি করতে পারেন নি। এবং ২০১৫ ওয়ার্ল্ডকাপে তিনি ভীষণই খারাপ পারফরমেন্স করেছিলেন। সে বছরই এপ্রিলে তাকে পাকিস্থানের হয়ে শেষবার তাকে দেখা গেছে ঢাকায় টি২০ আন্তর্জাতিকে।
সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন দুসরার জনক সইদ আজমল
