উঠে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদার নির্বাসন। আর তা মেনে নিতে পারলেন না অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তিনি মনে করেন আইসিসির এই সিদ্ধান্ত এই অপরাধ সম্পর্কে প্লেয়ারদের আরও বেশি করে বিভ্রান্ত করতে পারে। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে আরও জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ানদের দীর্ঘদিনের নীতি রয়েছে যে তারা আইসিসির ম্যাচ রেফারির নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কখনও আবেদন জানান না। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার এই সাফল্যের পর তাদের সেই নীতি বদলে যাবে বলেও জানিয়েছেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। স্মিথ আরও বলেছেন যে কাগিসো রাবাদার ঘটনায় শাস্তি নিয়ে যা হয়েছে তাতে তিনি স্তম্ভিত। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে এই ঘটনায় তাকেও কেনও কোনও প্রশ্ন করা হয় নি? কারণ ওই ঘটনাটি তো তার সঙ্গেই ঘটেছে। তাই আইসিসির উচিৎ ছিল এই গোটা ঘটনায় তারও বক্তব্য শোনার।
সংবাদমাধ্যমে জা নিয়ে স্মিথ বলেছেন, “ একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠিক আছে আসিসির। সেদিন ও মাঠের মধ্যেই সরাসরি ধাক্কা দিয়েছিল”। প্রসঙ্গত স্মিথকে ধাক্কা দেওয়ার জন্যই শাস্তি হয় রাবাদার। দু ম্যাচের নির্বাসনের শাস্তি হয়েছিল তার। পরে তিনি আসিসির কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন করেন এবং আইসিসি তা মুকুবও করে দেয়। যা নিয়ে স্মিথ বলেন, “ সেই সময় আমার হঠাৎই মনে হয়েছিল যে ও আমাকে যে ধাক্কাটা দিল তা একটু জোরে ছিল। ক্যামেরা ফুটেজেও তাই দেখা গিয়েছিল। এই ঘটনা আমাকে খুব একটা ভাবায় নি। আমি মনে করি আউট হয়ে যাওয়ার পর যে মন খারাপ লাগাটা থাকে তাকে আর কোনও ঘটনাই ছাপিয়ে যেতে পারে না।
কী কারণ ছিল অতিরিক্ত সেলিব্রেশন করার, যখন তুমি লড়াইটা জিতেই গিয়েছ। ধাক্কাটা ইচ্ছে করে দিয়েছিল না লেগে গিয়েছিল ওদের এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ চিল”। প্রসঙ্গত ২০১১ সালের পর থেকে একবারই মাত্র অস্ট্রেলিয়া শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়েছিল। সেই সময় মিচেল জনসন এবং বেন স্টোকসের মধ্যে ধাক্কা লেগেছিল। সেই ঘটনায় ওই দুই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেই মামলা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনা ঘটে ২০১৩য়। অন্যদিকে স্মিথ মনে করেন রাবাদার এই শাস্তি মুকুবের ঘটনা ক্রিকেট আইনের ছবিটা বদলে দিতে পারে। কারণ এই শাস্তি মুকুবের ফলে মাঠের মধ্যে ধাক্কা দেওয়া এবং তারপর শাস্তি মুকুবের আবেদন করার রাস্তাটা এর ফলে খুলে গেল। স্মিথ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “ ক্রিকেটের স্পিরিট বজায় রেখেই আমরা খেলেছি। আমরা হয়ত অ্যাগ্রেসিভ ছিলাম কিন্তু ক্রিকেটের কোনও নিয়ম আমরা ভাঙিনি”।