দিল্লীর ওপেনার গৌতম গম্ভীর ২৩৭ বলে ২০টা চারের সাহায্যে ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকলেন। আলুরে গ্রুপ এ’র খেলায় কর্নাটকের বিরুদ্ধে তিনি নিজের ৫৬.৯৬ গড় বজায় রাখতে সক্ষম হলেন। ইশান্ত শর্মার অধিনায়কত্বে এই ম্যাচে গম্ভীরর দিল্লির হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন। অতিথি দল হিসেবে তৃতীয় দিনের খেলার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ালো ৮৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৭ রান। অন্যদিকে আরেক ব্যাটসম্যান মিলিন্দ কুমার ৫২ বলে ১০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। কর্নাটকের হয়ে বল হাতে সব চেয়ে সফল স্টুয়ার্ট বিনি। তিনি ১৩ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। অন্যদিকে গ্রুপ ডি’র খেলায় হিমাচল প্রদেশকে তাদের ঘরের মাঠ ধর্মশালায় এক ইনিংস এবং ১১৪ রানে হারাল ছত্রিশগড়। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৬৭ রানে অলআউট হয়ে যায় হিমাচল প্রদেশ। শাহনাওয়াজ হোসেনের দুরন্ত ৬ উইকেটই সুমিত ভার্মার অধিনায়কত্বধীন হিমাচল দলে আতঙ্কের সৃষ্টি করে দেয়। ২৪ বছর বয়েসী জোরে বোলার শাহনওয়াজ ১৬ ওভারে মাত্র ৫৩ রানের বিনিময় ৬ উইকেট নেন।
অন্যদিকে গ্রুপ এ’র খেলায় ওপেনিং ব্যাটসম্যান উমঙ্গ শর্মার সেঞ্চুরিতে ভর করে উত্তরপ্রদেশ রানের পাহাড় গড়ে। ৬৬ ওভারের শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ২২৯ রান। ২০৫ বল খেলে ১৩১ রানে অপরাজিত থাকেন উমঙ্গ। দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তরপ্রদেশের লিড গিয়ে দাঁড়ায় ২৬০ রান। উমঙ্গের সঙ্গে উইকেটের অন্যপ্রান্তে ৩৮ বলে দুরন্ত ৭৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন আরেক ব্যাটসম্যান মহম্মদ সইফ। যদিও ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত তা বড়ো রানে পরিবর্তন করতে পারেন নি অধিনায়ক সুরেশ রায়না। বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যান ৭৭ বল খেলে করেন মাত্র ৩৩ রান।
গ্রুপ এ
আসাম – উত্তরপ্রদেশ
দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তর প্রদেশের রান ৬৬ ওভারে ২ উইকেটে ২২৯ রান, তৃতীয় দিনের খেলার শেষে অতিথি দল ২৬০ রানে এগিয়ে।
কর্নাটক – দিল্লি
আগের দিনের ৫ ওভারে বিনা উইকেটে ২০ রান নিয়ে খেলতে নামা দিল্লির তৃতীয় দিনের খেলার শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৮৪ চার উইকেটে ২৭৭ রান।
মহারাষ্ট্র – রালওয়েজ
প্রথম ইনিংসে মহারাষ্ট্রের ৪৮১ রানের জবাবে ১১৪ ওভার শেষে রেলওয়েজ ৫ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৩৩০ রান করে। অতিথি দল রেলওয়েজ মহারাষ্ট্রের প্রথম ইনিংস থেকে ১৫০ রানে পিছিয়ে রয়েছে।
গ্রুপ সি’র খেলায় দীপক হুদের নেতৃত্বাধীন বরোদা মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় থেকে মাত্র ৬ উইকেট দূরে রয়েছে। স্টাম্পের সময় অব্ধি মুম্বাইয়ের রান ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১০২। উইকেটে ৭৪ বলে ২৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন অজিঙ্ক রাহানে। মুম্বাইয়ের আর এক ব্যাটসম্যান সুকুমার যাদব ৬ বল খেলে ২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বাই এখন ৩০২ রানে পিছিয়ে রয়েছে।
গ্রুপ বি
ঝাড়খন্ড- জম্ম কাশ্মীর (জামশেদপুর)
ঝাড়খন্ডের রান এই মুহুর্তে ৫৯ ওভারের শেষে ৭ উইকেটে ২৪৬। প্রথম ইনিংসে ঝাড়খন্ড ৯ উইকেটে ২৯২ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পারভেজ রসুলের নেতৃত্বাধীন জম্ম কাশ্মীর এখনও ৩৩০ রানে এগিয়ে রয়েছে।
সৌরাষ্ট্র – গুজরাট (রাজকোট)
দিনের শেষে পার্থিব প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন গুজরাটের রান দাঁড়িয়েছে ১০৬ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৪ রান। বর্তমান রঞ্জি জয়ী দলটি এখনও প্রথম ইনিংসে এখনও ২৬৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে।
হরিয়ানা – রাজস্থান (রোহতক)
প্রথম ইনিংসে রাজস্থানকে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট করা অমিত মিশ্রার নেতৃত্বাধীন হরিয়ানা দিনের শেষে ৫৫ ওভারে পাঁচ উইকেটের বিনিময় ১৭৯ রান তুলেছে। রোহতকে ঘরের মাঠে এখনও পর্যন্ত তারা ২৫২ রানে এগিয়ে রয়েছে।
গ্রুপ সি
ত্রিপুরা – অন্ধ্রপ্রদেশ (আগরতলা)
আগরতলায় তৃতীয় দিনের খেলার শেষে অন্ধ্রপ্রদেশ ১৭ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৫১ রান করেছে। অতিথি দল অন্ধ্র এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৮ রানে এগিয়ে রয়েছে।
মুম্বাই – বরোদা
প্রথম ইনিংসে মুম্বাই মাত্র ১৭১ রানে অলআউট হওয়ার পর বরোদা দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯ ওভারে চার উইকেটে ১০২ রান করেছে।
ওড়িশা – তামিলনাড়ু (কটক)
প্রথম ইনিংসে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ওড়িশা পিছিয়ে ২৪৪ রানে। কটকে ঘরের মাঠে ওড়িশা ১০১ ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে ২৮৬ রান করেছে।
গ্রুপ ডি
বাংলা – বিদর্ভ (পশ্চিমবঙ্গ)
মনোজ তেওয়ারীর নেতৃত্বাধীন বাংলা ২০৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। তৃতীয় দিনের শেষে তাদের রান ২৯ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৮৬। প্রথম ইনিংসে বাংলা মাত্র ২০৭ রানে অলআউট হয়ে যায়।
হিমাচল প্রদেশ – ছত্তিশগড় (ধর্মশালা)
তৃতীয় দিনের খেলার শেষে ছত্রিশগড় হিমাচল প্রদেশকে এক ইনিংস এবং ১৪৪ রানে হারিয়ে দেয়।
সার্ভিসেস – গোয়া (দিল্লি)
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই খেলায় সার্ভিসেস ৩৪ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে করে ১০৮ রান। প্রথম ইনিংসে গোয়াকে ২৭০ রানে অলআউট করে দেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত হোস্ট দলটি ১০১ রানে এগিয়ে রয়েছে।