টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে বেশ কিছু দিন ধরে ই দূরত্ব চলছে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের। বেশ কয়েক বার ই তার কথা বুঝা গিয়ে গিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট ই তার উপর কিছু সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে। এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম টেস্টে যখন কিপিং গ্লাভস ছাড়তে হয়েছিল তখনো বুঝা গিয়েছিল তিনি স্বেচ্ছায় তা ছাড়েন নি। তখন সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘দলের ভালোর জন্য যেটা দরকার, আমি সেটাই করব।’ তবে পরের বক্তব্যে অনেকটাই পরিষ্কার, টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত না মেনে উপায় নেই বলেই অনুরোধে ঢেঁকি গিলছেন সবচেয়ে বেশি ম্যাচে বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপারের দায়িত্ব পালন করা মুশফিক, ‘ম্যানেজমেন্ট যখন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটা তো মানতেই হবে।’ চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ হারের পরও মুশফিকের কথা নিয়ে ঝড় উঠেছিল। এবার আবার ব্লুমফন্টেইন টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বেশ। আর আলোচনার কারন মুশফিকের ফিল্ডিং করার অবস্থান ও তা নিয়ে দেওয়া ব্যাখ্যা। দলের যে ফিল্ডার যেখানেই থাকুক না কেন, অধিনায়ক সব সময় থাকেন বৃত্তের ভেতরেই। এমনই হয়ে আসছে সব সময়।
বোলারদের পরামর্শ দিতে দলপতিকে থাকতে হয় কাছাকাছিই। অথচ ব্লুমফন্টেইনে দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র! মুশফিকুর রহিম দলপতি হলেও ফিল্ডিং করছেন বৃত্তের বাইরেই। এমনটার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুশফিক জানালেন বিস্ময়কর এক তথ্য! অধিনায়ক হয়ে প্রথম এবং দ্বিতীয় সেশনের অনেকটা সময় মুশফিক ফিল্ডিং করেছেন বাউন্ডারিতে। কিপিং গ্লাভস জোড়া লিটনের হাতে তুলে দেওয়ার পর থেকে উইকেটের কাছাকাছি কোনো জায়গায় দাঁড়ান তিনি। অধিনায়কেরা সে রকমই দাঁড়ান সব সময়। কোথায় স্লিপে, মিড অফ বা মিড অনে থাকবেন কাপ্তান! সেখানে প্রথম দিনের প্রথন দুই সেশন মুশফিক ছিলেন বোলারদের থেকে অনেক দূরে ডিপ পয়েন্টের ফিল্ডার। দিনশেষে ম্যানগাউং ওভালের সংবাদ সম্মেলনে দেখা মিলেছিল মুশফিকের ই। প্রশ্নটাও আসবে জানতেন মুশফিক। তবে উত্তরে খুব একটা স্বাভাবিক দেখা যায়নি দলনায়ককে। কোথায় যেন জমানো একটু ক্ষোভ, হতাশা আর অসহায়ত্ব! সরাসরি বলেন, “আমি একটা ব্যাপার পরিষ্কার করি, আমি ফিল্ডার হিসেবে খুব একটা ভালো না। আমার কোচরা চেয়েছে আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। কারণ, আমি সামনে থাকলে আমার কাছ থেকে নাকি রান হয়ে যায়। বা আমার হাতে ক্যাচ-ট্যাচ আসলে নাকি সেগুলো ধরার চান্স থাকে না।” মুশফিক আরো বলেন, “টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা বলবে, সেটা তো আপনার করতে হবে। আমি চেষ্টা করেছি, বেশিরভাগ সময় বাইরে বাইরে থাকার। যখন ভেতরে ছিলাম তখন চেষ্টা করেছি, বোলারদের সঙ্গে কথা বলার।”