গতকাল আইপিএলের ৪১ তম ম্যাচে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ওই ম্যাচে কলকাতাকে ১০২ রানের বিশাল ব্যবধানে প্লে অফে যাওয়ার নিজেদের রাস্তা আরও খানিকটা এগিয়ে নিল মুম্বাই। তাছাড়া এই ম্যাচে কলকাতাকে হারানোর তাদের রেকর্ডকেও কায়েম রাখল তারা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স যদি প্রতিযোগিতায় একটাও ম্যাচ হারে তাহলে তাদের প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা প্রায় বন্ধই হয়ে যাবে। এই অবস্থায় তারা শেষ তিনটি ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে জয়লাভ করেছে। গতকাল তারা কেকেআরকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার এই মরশুমে পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে। অন্যদিকে এই ম্যাচে কেকেআর প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই ৬ উইকেটে ২১০ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে দেয়। প্রথমে মুম্বাইয়ের তরফে দুই ওপেনার এভিন লুইস এবং সূর্যকুমার যাদব দুর্দান্ত শুরুয়াত করেন এবং পরে ঈশান কিষাণ এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা মুম্বাইয়ের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান। বিশেষ করে ঈশান এদিন ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। মাত্র ১৭ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ২১ বলে পাঁচটি চার এবং ছয়টি ছয়ের সাহায্যে ৬২ রান করেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে কেকেআর। প্রথম ১০ ওভারের শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৬৭ যেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারে নি তারা। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক বলেন, “২০০ রান তাড়া করা সবসময়ই মুশিকল। আমরা ভাল ব্যাটিং করতে পারি নি। যদি ফিল্ডিংয়ে সব ক্যাচ ঠিকঠাক নেওয়া হত তাহলে কে জানে ফলাফল হয়ত যা খুশি হতে পারত।
যদি আপনি ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাহলে অনেক বেশি চাপ এসে যায়। পাওয়ার প্লের পর থেকেই আমরা ম্যাচে ছিলাম না। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলার চেষ্টা করছিলাম। আমরা এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগোব। সবচেয়ে জরুরী হল আমাদের স্কিলকে আরও বেশি বাড়ানো। এই ধরনের হার আপনাকে নীচের দিকে নিয়ে যায়। আমাদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা প্লে অফে যেতে পারি।
মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে হেরে এই নাইটের উপর দায় চাপালেন কেকেআরের অধিনায়ক কার্তিক
