
ভারতীয় ক্রিকেটে যখন এই বিতর্ক চলছে যে টি২০ ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিকল্প খোঁজার সময় এসে গিয়েছে ঠিক সেই সময়েই কলকাতায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের হয়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে নির্বাচকদের কড়া বার্তা পাঠিয়ে রাখলেন সঞ্জু স্যামসান। যে সময় ঘরোয়া টিম ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল, ঠিক সেই সময়েই ব্যাট করতে এসে সঞ্জুর এই ইনিংস ঘরোয়া দলকে ম্যাচে ফিরে আসতে সাহায্য করে। ওপেনিং ব্যাটসম্যান জীবনজ্যোত সিং কে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলঙ্কার আটোসাঁটো বোলিংকে সামলানো ছিল সত্যিই কঠিন। সেখান থেকে সঞ্জু স্যামসন সেই ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে ফর্মে থাকা শ্রীলঙ্কান বোলারদের মাথায় চড়তে না দিয়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনেন। আহত নমন ওঝার পরিবর্তে অধিনায়কত্বের দায় ভার এসে বর্তায় সঞ্জুর উপরে। এবং সেই দায়ভার মাথায় নিয়েই খুব সহজেই তিনি মাত্র ৬৩ বলে নিজের অর্ধশতরানে পৌঁছে যান তিনি। এর মাঝে জীবনজ্যোত আউট হয়ে গেলেও অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বেশ কিছু উপযোগী পার্টনারশিপ খেলে স্কোর বোর্ড সচল রাখেন। নিজের ১২৮ রানের মাথায় নিরসন ডিকওয়েলার হাতে সমরাবিক্রমের বলে উইকেটের পিছনে ধরা পড়ার আগে কেরেলিয়ান নক্ষত্র জীবনজ্যোত, রোহন প্রেম, এবং বি সন্দীপের সঙ্গে ছোট ছোট পার্টনারশিপ খেলেন। ৮৯।৫১ স্ট্রাইকরেট নিয়ে ১৪৩ বলে ১২৮ রান করেন সঞ্জু। এই ইনিংস গড়ার পথে ১৯টি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কা তাদের ব্যাটিং শক্তির প্রদর্শন করে ৮৮ ওভারে ৯ উইকেটে ৪১১ রানের বিশাল পাহাড় খাড়া করে।

এদিকে টি২০তে ধোনির প্রদর্শনের কারণে সঞ্জুর এমন প্রদর্শনে নির্বাচকদের নজর থাকবে তার দিকে। প্রাক্তণ ভারত অধিনায়ক এখনও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০তে তার স্লো ব্যাটিং ভিভিএস লক্ষণ এবং আজিত আগরকারসহ বহু প্রাক্তণেরই সমালোচনার বিষয় হয়েছে। তাদের মতে এই বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ককে ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ।