ভারতীয় পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের একজন পুলিশ সুপার ইন্ডিয়ান টুডে কে জানান যে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের টিকিট কালোবাজারি করার সময় রাভিন্দ্র মিমরোট (২৪) এবং ধিরাজ সারওয়ান (২৩) নামে দুজন কে চিহ্নিত করা হয়েছে। হলকার স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে চলাকালীন সময় এরা জাল টিকেট বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে উঠেছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে নয়টি জাল টিকেট আটক করেছে। যদিও তারা বিক্রির জন্য মোট ৪০ টি জাল টিকেট ছাপিয়ে ছিল। তারা বাকি ৩১ টি টিকেট ৪০০০০ রুপিতে বিক্রি করা হয়েছে। টিকেট কালো বাজারি কিংবা ম্যাচ চলাকালীন জুয়ার সাথে জড়িত থাকার ঘটনা ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন নয়।
শ্রীলঙ্কা বনাম ভারতের ওয়াডে সিরিজ চলার সময় বাজির সাথে জড়িত এমন তিন জনকে মুম্বাই শহরের পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ আটক করেছিল ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে বাজির সাথে জটিত থাকার অপরাধে। ইন্ডিয়ান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী তখন জানা গিয়েছিল চক্রটির সাথে আহমেদাবাদ, দিল্লী ও দুবাইর সাথে যোগাযোগ আছে। পুলিশ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবনে অভিযান চালানোর সময় দীপক রাভি কাপুর, তরুণ সানী ঠাকুর এবং তার চাচাতো ভাই সানী অশোক ঠাকুর নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছিল। এর আগে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা সিরিজের সময় ও ভারতীয় পুলিশ এমন আরেকটি চক্রর সদস্যদের আটক করেছিল। কৈলশ ছেতোয়ানি ও সুনিল আমালচন্দনি নামের সেই দুই ভারতীয়কে গোধরা শহর থেকে হাতে নাতে আটক করেছিল পুলিশের লোকাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এদিকে তৃতীয় ম্যাচও জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৩-০ তে জিতে নিয়েছে ভারত। বড় রানের লক্ষ্যে নেমেছিল ভারত। পরে ব্যাট করে ভারতকে করতে হত ২৯৪ রান।
প্রথম দুই ওয়ান ডেতে আগে ব্যাট করে জয় এসেছে। এবার রান লক্ষ্য করে জয় ছিনিয়ে নিতেও প্রস্তুত ছিলেন বিরাট কোহলিরা। এই পিচে প্রথম ইনিংসে যেভাবে রান উঠেছে সেই গতিতে যে দ্বিতীয় ইনিংসে উঠবে না সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু ভারতের আত্মবিশ্বাসের জায়গা তাঁদের ব্যাটিং। যাঁরা যে কোনও সময় বদলে দিতে পারে ম্যাচের রঙ। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে টস জয়ের পাশাপাশি ম্যাচও জিতে নিয়েছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচে তাই টস জয়কে সামনে রেখেই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় দলে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পক্ষে নন বিরাট কোহলি।