ক্রিকেটের বড় প্রতিযোগিতা মানেই বিশ্বজুড়ে বেটিং চক্রের রমরমা। যার জালে জড়িয়ে পড়েছে বহু ক্রিকেটারই। এই বেটিং চক্রের আওতায় এসে বহু ক্রিকেটারই নষ্ট হয়েছে ক্রিকেট কেরিয়ার। হ্যান্সি ক্রোনিয়ে থেকে শুরু করে হাল ফিলহালের এস শ্রীসন্থ, বেটিং চক্রের লোভনীয় হাতছানি এড়াতে না পেরে প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত হয়েছে বহু ক্রিকেটারই। আর আইপিএল শুরু হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশ জুড়েই নিজেদের জাল বেছানো শুরু করে দিয়েছে ক্রিকেট বুকিরা। গোটা দেশের এই বেটিং চক্রের ছোঁয়া এবার লেগেছে পশ্চিমবঙ্গেও। প্রসঙ্গত সম্প্রতি কয়েক দিন আগে উত্তরবঙ্গের এলাকা থেকে সিআইডি কর্তারা ধরেছিলেন বেটিং চক্রদের। উদ্ধার হয়েছিল বেশ কয়েক লক্ষ টাকাও। এবার বেটিং চক্রে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন বাংলার এক প্রাক্তন ক্রিকেটার। বেটিং চক্রে যুক্ত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তার হলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা শিলিগুড়ির বাসিন্দা সন্দীপ রায়। পুলিশের একটি সূত্র থেকে আনা গিয়েছেন তিনি শিলিগুড়ির হাকিম পাড়ার বাসিন্দা।
জেলাস্তরে ক্রিকেটে যথেষ্ট নাম ডাকও রয়েছে তার। এমনকী তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জাতীয় দল তথা বাংলার উইকেটকীপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহার কোচ জয়ন্ত ভৌমিকের কাছেও। তার প্রশিক্ষণেও খেলেছেন তিনি। সন্দীপের বাড়ীর কাছেই রয়েছে তার বাবার মোটরবাইক মেরামতের গ্যারাজ। পুলিশ সূত্রের খবর সেখান থেকেই ক্রিকেটের বেটিং চক্র চালাতেন এই ক্রিকেটার। একটি গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে শিলিগুড়ির পুলিশ গোয়েন্দারা ওই গ্যারাজে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে সন্দীপকে।
সন্দীপের কাছে থেকে মোট ৩২ হাজার টাকা সহ উদ্ধার হয়েছে একাধিক মোবাইল ফোনও। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে সন্দীপ একটি খাতায় বেটিংয়ের সমস্ত হিসেব রাখতেন। সেই খাতাটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই খাতা থেকেই পুলিশ জানতে পেরেছে গত মঙ্গলবার সন্দীপ মুম্বাই হায়দ্রাবাদের হিসেব নিকেশও রেখেছেন ওই খাতায়। সেই সঙ্গে ওই খাতা থেকেই সন্দীপের এক সহযোগিরও নাম পেয়েছে পুলিশ। আপাতত ওই সহযোগীর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।