দীপিকার সঙ্গে বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে মানা করে দিলেন ভারত তথা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আর অধিনায়কের এই নায়ের ফলেই বড়োসড়ো আর্থিক ক্ষতির কবলে পড়তে হল আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজি আরবিসিকে। ফলে আইপিএল শুরুর আগেই বিতর্কের প্রশন উঠে গেল। তাহলে কি দীপিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় ভারতীয় ক্রিকেটের মুকুটহীন সম্রাটের? না কি দীপিকার সঙ্গে শুটিং করতে অস্বীকার করার পেছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? নাহ ভারত অধিনায়কের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়নি এই বলিউড সুন্দরীর। তাহলে বিরাট ‘না’ বললেন কেন? একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ব্যাঙ্গালোরের এই আইপিএল ফ্রেঞ্চাইজির সঙ্গে বিজ্ঞাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে চাইছিল বিখ্যাত অনলাইন ট্র্যাভেল কোম্পানি গো আইবিবো। অন্যদিকে বলিউডের নায়িকা দীপিকা পাডুকোন এই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। আর এই ট্র্যাভেল কোম্পানির হয়েই দীপিকার সঙ্গে শুটিংয়ে না করেছেন বিরাট। আর শুটিং করতে অসম্মত হওয়ার কারণ হিসেবে ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে যে ভারত অধিনায়কের সঙ্গে আরবিসির চুক্তিপত্রের সময় নাকি অন্যতম শর্ত হিসেবে বলা হয়েছিল যে বিরাট বলিউডের আর কোনও নায়িকার সঙ্গে স্ক্রীন শেয়ার করতে পারবেন না।
আর চুক্তির কারণেই নাকি ওই সংস্থার সঙ্গে বিজ্ঞাপন শুটিংয়ে না করে দেন তিনি। অন্যদিকে আরবিসি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও এই ব্যাপারে গো আইবিবো কর্তৃপক্ষ কোনও রকম সাড়া না পেয়ে স্পনসরশিপ থেকে সরে দাঁড়ায় ওই ট্রাভেল সংস্থাটি। এই মুহুর্তে তর্কাতীতভাবেই বিরাট ক্রিকেট সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাটের আসনে রয়েছেন। তার উইলোকে ভয় পায় না এমন কোনও বোলারও বোধহয় এই মুহুর্তে নেই বিশ্বক্রিকেটে। বিজ্ঞাপনের ব্র্যান্ড ভ্যালুতেও পিছিয়ে নেই ভারত অধিনায়ক। অন্যদিকে বলিউডের পদ্মাবতী দীপাকাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। রূপোলী পর্দার নানান চরিত্রে অভিনয় করে ইতিমধ্যেই তিনি তার সমসাময়িক বহু নায়িকাকেই পেছনে ফেলে দিয়েছেন।ফলে চুক্তি ঝামেলায় এই দুজনের বিজ্ঞাপন করতে না পারায় স্পনসরশিপ চলে গিয়ে প্রায় ১১ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে।