ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের একাদশ মরশুমে গত কাল সুপার সানডের দ্বিতীয় ম্যাচ দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় অনুষ্ঠিত হল। এই ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। এই ম্যাচে টসে জিতে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮১ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেনে আরসিবি বিরাট-ডেভিলিয়র্সের দুরন্ত পার্টনারশিপের সৌজন্যে এই ম্যাচ পাঁচ উইকেটে জিতে নেয়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির শুরুটা ভীষণই খারাপ হয়। তাদের দুই ওপেনার জেসন রয় এবং পৃথ্বী শ দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান যজুবেন্দ্র চহেলের শিকার হয়ে। এরপরেই ক্রিজে জুটি বেঁধে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ ৯৩ রানের পার্টনারশিপ খেলে দিল্লিকে বড় রান করার মঞ্চ প্রস্তুত করে দেন। শেষ ওভারে ভারতের অনুর্ধ্ব ১৯ তারকা অভিষেক শর্মার বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮১ রান স্কোরবোর্ডে তোলে। দিল্লির হয়ে ঋষভ পন্থ ৬১, অভিষেক শর্মা ৪৬ এবং শ্রেয়স আইয়ার ৩২ রান করেন।
এরপরই ব্যাট করতে নেমে আরসিবির শুরুটাও দিল্লির মতনই খারাপ হয়। তাদের দুই ওপেনার পার্থিব প্যাটেল এবং মইন আলি দ্রুত ফিরে যান সাজঘরে। এরপরই আরসিবির দুই কিংবদন্তী বিরাট কোহলি এবং এবি ডেভিলিয়র্স একসঙ্গে ক্রিজে পা রাখেন এবং নিজেদের ঢঙেই ব্যাটিং করা শুরু করেন। এই দুজনেই আরসিবিকে জেতার কাছাকাছি নিয়ে আসেন, এবং এই জুটির পতন হয় বিরাট কোহলি ব্যক্তিগত ৭০ রানে আউট হওয়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এবি ডেভিলিয়র্স টিকে থেকে আরসিবিকে সহজ জয় এনে দেন।
এই দুরন্ত জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানান, “ পয়েন্ট টেবিল এখন সম্পূর্ণভাবে খোলা রয়েছে। এটা দারুণ অনুভব যে আমারা দিল্লির দর্শকদের কাছ থেকেও সমর্থন পেয়েছি। আমরা বোলিংয়ে খুব ভাল কিছু করতে পারি নি, কিন্তু দল ভাল খেলেছে। রান তাড়া করার একটা আদর্শ থাকে। এই স্টেজে বোলিং ভাল হয়। কেননা দায়িত্ব পালন করা সহজ হয়। আপনি যেমন চান তেমনভাবেই ম্যাচকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। এখান থেকেই খেলোয়াড়দের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়”।
ইনিংস ব্রেকের এবির কাছ থেকে যে পরামর্শ পেয়েছিলেন তার খোলসা করে বিরাট বলেন, “ আজ বাস্তবে সত্যিই ভাল লাগছে। এবির সঙ্গে ব্যাট করা আমার কাছে সম্মানের। আমরা আগেও অনেকবার একসঙ্গে এই কাজটা করেছি। এটা একটা কঠিন লক্ষ্য ছিল। ইনিংস ব্রেকের সময় এবি আমাকে বলেছিল যে চিন্তা করো না আমরা এই লক্ষ্য পার করে দেব। এটা আমাকে সাহায্য করেছে। এটা আমাকে ব্যাট করতে নামার আগে আরও মোটিভেট করে দেয়। এটা নিয়ে এর বেশি বলার প্রয়োজন নেই”।
প্লেঅফে যাওয়া নিয়ে বিরাট আরও বলেন, “ ব্যাট হাতে সামনে এসে প্রদর্শন করা ভীষণই সম্মানের। আমি আউট হওয়ার পর হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম কারণ রান রেট আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। আমি ম্যাচ দ্রুত শেষ করতে চাইছিলাম। তিন ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতলে রান রেট ভাল হওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর মূল্য আমাদের ১০-১২ বল বেশি চোকাতে হয়”।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে জেতার পর বিরাট জানালেন ইনিংস শুরুর আগে এবি ডেভিলিয়র্সেরি কথাই তাকে মোটিভেট করেছিল
