সম্প্রতিই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করে দেশে ফিরেছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বিদেশ সফরে তিনটে ওয়ান ডে এবং টি ২০ সিরিজে বোল হাতে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজেও দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু মুম্বাইয়ের জোরে বোলার শার্দূল ঠাকুর যে এখনও ঠিক তারকা হয়ে উঠতে পারেন নি তার প্রমান পাওয়া গেল সম্প্রতি। নইলে কি কেউ আর নিজের মুম্বাইয়ের বাড়িতে ফেরার জন্য লোকাল ট্রেনে চাপে! আপাতত এরকমই নজিরবিহীন ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে তিনি। একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আন্ধেরী স্টেশন থেকে নিজের বাড়িতে ফিরতে লোকাল ট্রেনেই সফর করেছেন এই তারকা বোলার। এবং প্রায় দেড় ঘন্টা আর পাঁচজন সাধারণ নিত্য রেল যাত্রীর মতই ট্রেনে সফর করলেন এই উঠতি তারকা। এ ব্যাপারে কি বলছেন শার্দূল নিজে?
তিনি জানিয়েছেন, “ বিমানে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মুম্বাই ফেরার পর বাড়িতে যত দ্রুত সম্ভব আসতে চেয়েছিলাম। তাই কালবিলম্ব না করেই কানে হেডফোন লাগিয়ে লোকাল ট্রেনেই চেপে পড়ি”। তবে নিজে নিজেকে সেলিব্রিটি মনে না করলেও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা তা মনে করে না। ফলে ট্রেনে চেপে সফর করার সময় বেশ বিব্রতকর অবস্থাতেই পোড়তে হয় ঠাকুর। শার্দূল জানিয়েছেন, “ অনেকেই বলছিল এই ক্রিকেটার জাতীয় দলের হয়ে খেলে। আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করছিলেন আপনি সত্যিই শার্দূল ঠাকুর? গুগলে ছবি দেখে একদল কলেজ পড়ুয়া আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়! আমি তাদের বলি পালাঘরে নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে”। জাতিয় দলের ক্রিকেটার হওয়া সত্ত্বেও তিনি যে এখনও মাটির কাছাকাছি রয়েছেন তার নিজেই প্রমান করেছেন এই নির্ভযোগ্য জোরে বোলার।
শার্দূল আরও জানিয়েছেন, “ আমার মত জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে রেলের কামরায় দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিল। বহু ট্রেন যাত্রীই অতীতের কথা রোমন্থন করে জানতে চাইছিলেন আগে কীভাবে আমি ট্রেনে যাতায়াত করতাম। আমি সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মাইনি। শৈশব থেকেই আমি প্রচন্ড পরিশ্রম করেছি সাফল্য পাওয়ার জন্য”।