
রবীন্দ্র জাদেজা ভারতের অন্যতম আলোচিত ক্রিকেটার। মাঠের পারফর্মেন্সে তিনি যেমন আলোচিত তেমনি মাঠের বাহিরের বিষয়েও আলোচিত। কখনো আলোচিত হোন বিতর্কিত কোন টুইট করে। কখনো বা অন্য কারনে। কিছুদিন আগে ধূমপান করার ছবি প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। এবার শুধু সমালোচনা নয়, আটকে গেলেন আইনি ঝামেলায়। ভারতীয় অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে পচা খাবার বিক্রির অভিযোগ তুলেছে রাজকোটের পৌর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, শুক্রবার রেস্টুরেন্টটিতে অভিযান চালানো হয়। রেস্টুরেন্ট ব্যবসা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ক্রিকেটারদের মাঝে। ক্রিকেটাররা অনেকেই খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারের পাশপাশি এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। ‘জাড্ডু’স ফুড ফিল্ড’ জাদেজার তেমন ই একটি কার্যক্রম। শুক্রবার তিনটি রেস্টুরেন্টে হানা দেয় রাজকোট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। এর একটি ছিল জাদেজার জাড্ডু’স ফুড ফিল্ড। আরএমসির মেডিক্যাল অফিসার পাঙ্কাজ রাথোড়ের নেতৃত্বে অভিযান চালায় জাদেজার রেস্টুরেন্টে। সেখানে গিয়ে রান্না ঘর, স্টোর রুম ও রেস্টুরেন্টের অন্যান্য জায়গায় অভিযান চালায় তারা। পরিদর্শন শেষে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসি খাবার, পচা সবজি এবং অন্যান্য পচা খাবারের সন্ধান পায় তারা। অভিযানে মোট ৩৫ কেজি পচা খাবার জব্দ হয়, যার ভিতর ১৭ কেজি পচা সবজি, ৭ কেজি পাস্তা, ১৪ কেজি বেকারি পণ্য, ৯ কেজি মাখা ময়দার তাল, ৪ কেজি পচা চাটনি, ৪ কেজি সিদ্ধ পচা আলু এবং পুরি, দেড় কেজি ভোজ্য রঙ এবং ৫০০ গ্রাম নুডুলস পুড়িয়ে ফেলা হয় সেখানে। একইসঙ্গে রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের অভিযোগে নোটিশও দেয়া হয়। ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে জাদেজা কথা বলতে রাজি হননি, তবে জাদেজার বোন নায়নাবা রেস্টুরেন্টে হানা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। মেডিক্যাল অফিসার রাথোড় বলেন, “আমরা অভিযানে বিভিন্ন পচা খাবার পেয়েছি যেটা কিনা তারা ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল। অধিকাংশ খাবারই আমরা স্পটেই পুড়ে ফেলেছি।”
তিনি আরো যোগ করেন, “আমরা তাদের চার দিনের সময় দিয়েছি। যদি তারা আমাদের বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে উত্তর দিতে না পারে তাহলে আরএমসির মাধ্যমে তাদের রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।” গত বছরের ডিসেম্বরে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে জাদেজার রেস্টুরেন্টের রান্না ঘরের একটি অংশ ভেঙে দিয়েছিল রাজকোট মিউনিসিপ্যালিটি। এর আগে ২০১৩ সালে রেস্টুরেন্টের নামে অভিযোগ আসে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে কিছু খাবারের নমুনা সংগ্রহ করলেও কোনো প্রকার অভিযানে যায়নি সেই সময়ে।