চলতি মরশুমেই ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন জম্মু-কাশ্মীর অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সামিউল্লাহ বেগ। স্পোর্টস্টারের রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী নভেম্বর তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্য়াচ খেলতে চলেছেন বেগ। ওই দিন জম্মু-কাশ্মীর রঞ্জিতে হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে। ম্য়াচটি হবে লাহলিতে। আগামী মাসের সতেরো তারিখ থেকে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ রাউন্ড শুরু হচ্ছে।
সামিউল্লাহ ঘরোয়া ক্রিকেটে তুখড় অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত। মোট ৬১টি প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলেছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের হয়ে ৩৭টি লিস্ট এ ম্য়াচও খেলেছেন তিনি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেগ ১৭৩৯ রান করেছেন, সেই সঙ্গে ১৫৮টি উইকেটও নিয়েছেন। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেট খেলায় বেগের সংগ্রহ ৪২৪ রান এবং ৩৬টি উইকেট। এছাড়া ২৩টি টি-২০ ম্য়াচেও অংশ নিয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে ডেকান চার্জাসের হয়ে আইপিএল ক্রিকেট খেলার সুযোগ এলেও, সেবার আর খেলা হয়ে ওঠেনি তাঁর। ২০১৪ সালে বরোদাতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্য়াম্পে তাঁকে ট্রায়ালের জন্য় ডাকা হয়েছিল। কারণ, সেই সময় ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্মে ছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের কোচ পরশ মামরে তাঁর সঙ্গে আরও দুই ক্রিকেটারকেও ট্রায়ালের জন্য় ডেকে ছিলেন। তাঁরা হলেন উমর নাজির ও শুভম খাজুরিয়া।
যদিও সেবারও আইপিএল খেলার ভাগ্য় তাঁকে সঙ্গ দেয়নি। শিঁকে ছিঁড়লে জম্মু-কাশ্মীরের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল খেলার উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারতেন বেগ। পারভেজ রসুল ওই রাজ্য়ের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি এখনও পর্যন্ত আইপিএল খেলেছেন। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্স ইলেভেনের হয়ে বিসিসিআই‘য়ের এই ঘরোয়া টি-২০ লিগে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তারপর রসুল সানরাইজার্স হায়দরাবাদে চলে যান। রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের হয়েও খেলেছেন পারভেজ। টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত জানুয়ারিতে অভিষেক হওয়া রসুল আশ্চর্যজনকভাবে ২০১৭ আইপিএল অকশনে অবিক্রিতই থেকে যান।
সামিউল্লাহ বেগের কথায় ফিরে আসা যাক। এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অবসর নেওয়ায় বেশ বড় রকমের অভাব দলকে ভোগাবে বলে মনে করছে তাঁর দল। কারণ, জম্মু-কাশ্মীর দলে গত চোদ্দো বছর ধরে নিয়মিতভাবে খেলে আসছিলেন বেগ। ২০০৬ সালে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশনে ডেনিস লিলির কাছে বোলিং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য় শিখতেও গিয়েছিলেন তিনি। ধবল কুলকার্নি ও বরুণ অ্য়ারনোর মতো বোলাররাও তাঁর কাছে ট্রেনিং নিয়েছেন একসময়।
২০১৪/১৫ রঞ্জি মরশুমের প্রথম ম্য়াচে জম্মু-কাশ্মীর মুম্বইকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল। ওই ম্য়াচের প্রথম একাদশে কেলেছিলেন বেগ। যদিও দলের জয় ব্য়াট বা বল হাতে বড় ভূমিকা নিতে পারেননি নিজে। তবে, জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেটের ইতিহাসে সেটা স্মৃতিমেদুর মুহূর্ত।
উল্লেখ্য়, চলতি রঞ্জি মরশুমের পয়েন্ট টেবিলে জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থান তিন ম্য়াচে দু‘টি হার নিয়ে ছয় নম্বরে। ”