সম্প্রতি অবসর নেওয়া নেহেরা ক্রিকেট জীবনে ভারতের বেশ কিছু সেরা অধিনায়কদের অধীনে খেলার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। ফিরোজ শাহ কোটলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলে অবসর নেওয়া ভারতের এই প্রাক্তন জোরে বোলারের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৯য়ে মহম্মদ আজহারউদ্দিনের নেতৃত্বে। এর কয়েক বছর পরেই তিনি খেলেন ভারতের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের একজন সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে। যিনি উৎসাহে ভরপুর তরুণ খেলোয়াড়দের দল গড়ে তাদের বিজয়ী দলে পরিনত করেছিলেন। সৌরভের অধীনে বেশ কিছু বছর খেলার পর তিনি ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক ধোনির নেতৃত্বেও খেলেন। ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকাও নিয়েছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এরপরের পাঁচ বছরে নির্বাচকরা তাকে দলে নেন নি। গত বছর তিনি ভারতের টি২০ দলে ফের নির্বাচিত হন, এবং এ বছরের শুরুতেই তিনি বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বেও খেলেন। কোন অধিনায়কের নেতৃত্ব তিনি সবচেয়ে উপভোগ করেছেন এই প্রশ্নের জবাবে নেহেরা তার বহু বৈচিত্রময় ব্যক্তিত্বের অধিনে খেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তবে ৩৮ বছর বয়েসি এই পেসার জবাবের শুরুতেই এই বলে ব্যাট তুলে দেন যে তিনি তিনি তুলনা করা পছন্দ করেন না। নেহেরা জানান, ‘ আমাকে অনেকেই এই প্রশ্নটি করেছেন। আমি আবারও আমার উত্তরের পুণরাবৃত্তি করব, কারণ গত এক দু সপ্তাহ ধরেই এই প্রশ্নটাই আমাকে বারে বারে করা হচ্ছে। আমি এমন একজন মানুষ যে কখনও তুলনা টানা পছন্দ করে না। প্রত্যেক মানুষেরই শক্তি এবং দুর্বলতা আছে। আমি দাদার নেতৃত্বে খেলেছি, ধোনির নেতৃত্বে খেলেছি এখং বিরাটের নেতৃত্বেও খেলছি। অবশ্যই বিরাটের সামনে এখন লম্বা কেরিয়ার পড়ে আছে। এ ছাড়াও অন্যান্য অনেক আধিনায়কের নেতৃত্বেও আমি খেলেছি। বীরু খুব বেশি নেতৃত্ব দেয় নি, কিন্তু ও খুব পজিটিভ একজন মানুষ ছিল। এমসও এমন একজন মানুষ যে সত্যি সত্যিই ভীষন ভালো। ধোনি খুব চিত্তাকর্ষক একজন ব্যাক্তিত্ব যে জানত কিভাবে তার টিমমেটদের সেরাটা বের করে আনতে হবে। দাদা (সৌরভ গাঙ্গুলী) ছিল এমন একজন মানুষ যিনি সবসময় আমাদের সবাইকে মোটিভেট করতেন। আমরা সবাই তখন তরুণ এবং অনভিজ্ঞ ছিলাম, আমি, বীরু, জাক (জাহির খান), যুবি, ভাজ্জি। প্রত্যেকেই আলাদা, এটা তুলনা করাও কঠিন। আমি এমন একজন মানুষ যে বলব না আমি উপভোগ করিনি যখন ভালো খেলেছি। কিন্তু যখন আমি শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করেছি আমি আমার খেলাটাকে ভীষণভাবে উপভোগ করেছি, তা সে ক্যাপ্টেন হিসেবে যেই থেকে থাকুক না কেন।
