কাশ্মীরের আট বছরের পীড়ত আসিফা বানোর সমর্থনে এগিয়ে এলেন প্রাক্তন পাকিস্থানী ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি, যাকে কাশ্মীরের স্থানীয় একটি মন্দিরে ধর্ষণ করার পর খুন করা হয়। প্রসঙ্গত গত ১০ জানুয়ারি জঙ্গলে ঘোড়া খুঁজতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় আসিফা। যদিও সেই ঘোড়া বাড়ি ফিরে এলেও আসিফাকে পাওয়া যায় নি। ঘটনার ঠিক দু’দিন পর ওই শিশুটির পরিবার থানায় যান অভিযোগ দায়ের করতে। কিন্তু আসিফার বাবার কথা অনুযায়ী পুলিশ সেই অভিযোগ নেয় নি। পুলিশ জানিয়েছিল ওই শিশুটিকে কোনও ছেলে ইলোপ করেছে। এরপরই খবর ছড়িয়ে পড়লে খেপে ওঠে স্থানীয় বাসিন্দারা, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়ে তারা দাবী জানিয়ে বাধ্য করে দুজন পুলিশ অফিসারকে আসিফার খোঁজের জন্য নিযুক্ত করতে। নিযুক্ত ওই দুই অফিসারের একজন দীপক খাজুরিয়াকে অসিফার ধর্ষণের অপরাধে দোষী হিসেবে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় পুলিশ আসিফার খুনের অপরাধে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করে, যার মধ্যে ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি অফিসার, চারজন পুলিশ কর্মী, এবং একজন নাবালক।
যদিও এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জম্মুতে বেশ কিছু মানুষ প্রতিবাদ বিক্ষোভও জানায় এবং পুলিশকে আদালতে ঢুকে চার্জশিট জমা দিতেও বাধা দেন আইনজীবীরা। এখানেই শেষ নয়, ওই আট অভিযুক্তের সমর্থনে ভারতীয় জনতা পার্টির দুই মন্ত্রী জম্মুতে র্যা লিও করেন। ভারত সরকার, যারা সর্বদাই ভারতের নারী শক্তি বিকাশের জন্য মুখর হয়েছেন তারা এ প্রসঙ্গে নিজেদের মুখ এখনও খোলেন নি। ইতিমধ্যে প্রাক্তন পাকিস্থানী ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি যিনি সাম্প্রতি টুইটারে কাশ্মীর প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন, এই শিশুটির সমর্থনে এগিয়ে এসে সুবিচার চেয়ে সরব হয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন অবিলম্বে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ আটকানো দরকার এবং দোষীদের অবশ্যই কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিৎ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে আফ্রিদি লেখেন, “কাসুরের ৬ বছরের জায়নাবই হোক বা জম্মুর ৮ বছরের আসিফা, এই ধরণে ঘৃণ্য এবং অমানবিক কাজকে রোখা দরকার এবং ওই অপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজাই দেওয়া উচিৎ, যাতে এই ঘটনায় অপরাধীদের শিক্ষা হয় এবং আর কোনও মেয়েই যাতে এই ঘৃণ্য অপরাধের শিকার হতে না পারে”। আফ্রিদি এর আগেই বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন সেই সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকার স্থানীয় মানুষদের প্রতি বিভিন্ন অন্যায় নিয়েও তিনি প্রতিবাদ করেছেন।