কেকেআরের স্বপ্নভঙ্গ করলেন ইউনিভার্সাল বস। দারুণ ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২০০র কাছাকাছি রান তুলেও ম্যাচ হাতে হল কিং খানের দলকে। যদি বৃষ্টি না হয়ে পুরো খেলা হত, তাতেও যে কেকেআরের জেতার সম্ভবনা থাকত তা হয়ত অতিবড় কেকেআর ভক্তও দাবী করতে পারতেন না। এই ম্যাচ প্রকৃত অর্থেই ছিল দুই শক্তিশালী দলের সমানে সমানে টক্কর। দু দলই পয়েন্ট টেবিলে একই জায়গায় ছিল, ফলে দলই ছেয়েছে একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব অধিনায়ক অশ্বিন।

এর আগে তিনটি করেই ম্যাচ জিতেছে দুটি দলই তা সত্ত্বেও নেট রানরেটের বিচারে এগিয়ে ছিল কলকাতা। প্রথমে ব্যট করতে নেমে এদিনও ব্যর্থ হন কেকেআর ওপেনার সুনীল নারিন। এরপরই এই ম্যাচের হাল ধরেন আরেক ওপেনার ক্রিস লিন (৭৪) এবং রবিন উথাপ্পা (৩৪)। এই দুজনে মিলে ভাল জায়গায় নিয়ে যান কেকেআরকে শেষ দিকে ভাল ব্যাট করেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকও (৪৩)। কিন্তু ডেথ ওভারে নাইটদের টকে দেয় পাঞ্জাব বোলাররা। ফলে শেষে পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারের কেকেআরের রান দাঁড়ায় ১৯১/৭। অন্যদিকে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তুলে দেন ক্রিস গেইল এবং কেএল রাহুল জুটি। তাদের ইনিংসের প্রথম পাঁচ বলে পরপর চারটি চার মেরে তাদের মানসিকতা বুঝিয়ে দেন রাহুল। অন্যদিকে শুরু থেকে খানিকটা অস্বচ্ছন্দই ছিলেন গেইল। কিন্তু তার সেই নিস্প্রভতা বেশিক্ষন স্থায়ী হয় নি।
দ্রুতই মেজাজে ফিরে আসেন ইউনিভার্সাল বস। এই দুজনে মিলে পাঞ্জাবের রান ৮.২ ওভারে ৯৬ রানে পৌঁছে দেন। এরপরই বৃষ্টি সহায় হয় কেকেআরের। বৃষ্টির ফলেই পাঞ্জাবের ওভার এবং লক্ষ্যমাত্রা কমে দাঁড়ায়। তাদের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৩ ওভারে ১২৫। তখনই বোঝা গিয়েছিল কি হতে চলেছে ম্যাচের ভাগ্য। তবে ফের ম্যাচ শুরু হতেই নারিনের বল পরপর ছক্কা এবং চার মারেন রাহুল, কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই আউট হন তিনি। ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি ছিল দেখার মত। এরপর মূলত এই ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়ায় পাঞ্জাবের জন্য। শেষ পর্যন্ত ১২ তম ওভারের প্রথম বলেই বিশাল ছয়ে ম্যাচ শেষ করেন ক্রিস গেইল (৬২)। ৯ উইকেটে হার হয় কেকেআরের।