আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারের পর কলকাতা নাইট রাইডার্স খুব বেশি সময় নিল না তাদের ফর্মে ফিরে আসতে । কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ম্যাচে তারা মরিয়া ভাবে তাদের দুরন্ত ব্যাটিং প্রদর্শনকে ফিরিয়ে আনল। শুরুর দিকে সুনীল নারিন এবং শেষ দিকে অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক এবং অ্যান্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে এই ম্যাচে তারা রেকর্ড পরিমান রান তুলে দেয় স্কোর বোর্ডে। অন্যদিকে রান তাড়া করতে নেমে, পাঞ্জাবও একই গতিতে শুরু করলেও, মিডল ওভারে তাদের উইকেট পড়ে যাওয়ায় সেই রান তোলার গত ব্যাহত হয়। শেষ দিকে পাঞ্জাব অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন চেষ্টা করলেও ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। শেষে পর্যন্ত তারা কেকেআরের রান থেকে ৩১ রান দূরে থেমে গিয়ে এই ম্যাচ পাঁচ উইকেটে হেরে যায়। একবার দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচ কি কি রেকর্ড নথিভুক্ত হল।
এই ম্যাচে যে যে রেকর্ড হল:
৩—শাহাদাব জাকাতি (২০০৯) এবং মুনাফ প্যাটেল(২০১২) র পর তৃতীয় প্লেয়ার হিসেবে আন্ড্রু টাই তৃতীয় বোলার হিসেবে আইপিএলে পরপর দু ম্যাচে চার উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন। এছাড়াও টাই সন্দীপ শর্মা এবং ইউসুফ আবদুল্লার পর তৃতীয় প্লেয়ার হিসেবে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে দুবার চার উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন।
২২—এই ম্যাচে দীনেশ কার্তিককের ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি আইপিএলে তার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে আইপিএলে তার দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি ছিল ২৪ বলে যা তিনি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে খেলে কোচি টক্কর্সের বিরুদ্ধে ইন্দোরে করেছিলেন।
৪৫—এই ম্যাচে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৪৫ রান তার আইপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান এবং টি২০ ফর্ম্যাটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। টি২০ ফর্ম্যাটে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৬ যা তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০তে করেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে। এর আগে আইপিএলে অশ্বিনের সেরা স্কোর ছিল ৩৩ যা তিনি এই মরশুমের শুরুতেই আরসিবির হয়ে করেছিলেন।
৭৫—এই ম্যাচে সুনীল নারিন আইপিএলে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান এবং টি২০ ফর্ম্যাটে তার তৃতীয় সর্বোচ্চ রান নথিভূক্ত করলেন। নারিন ২০১৭য় সিপিএলে টিকেআরের হয়ে ৭৯ রান করেন এবং ২০১৭য় বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটের হয়ে ৭৬ রান করেছেন।
২৪৫/৬—কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২৪৫/৬ তাদের সর্বোচ্চ রানের আইপিএল ইনিংস। এর আগে তাদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২০০৮ প্রথম আইপিএলে আরসিবির হয়ে ২২২/৩। এছাড়াও এটা আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে যে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ রান। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে কোনও দলের করা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৪০/৪, যা আইপিএলের প্রথম মরশুমে সিএসকে তাদের বিরুদ্ধে করেছিল।
২৪৫/৬—কেকেআরের ২৪৫/৬ রান আইপিএলে সর্বোচ্চ যার মধ্যে কোনও সেঞ্চুরি হয়নি এবং সবমিলিয়ে টি২০ ফর্ম্যাটে যুগ্ম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ২০০৭ এ টি২০ ওয়ার্ল্ডকাপে কেনিয়ার বিরুদ্ধে ২৬০ রান করেছিলেন যার মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত স্কোর ছিল ৯০। এর আগে কোনও সেঞ্চুরি ছাড়া আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ২৩১/৪, যা ২০১১য় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস করেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধেই।
২৪৫/৬—এই রানটি টি২০ ফর্ম্যাটের সর্বোচ্চ রান যার মধ্যে একটি ৪ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও রয়েছে। এর আগের সর্বোচ্চ রান ছিল দিল্লির ২৩৬/৯ যার মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশের বোলার সিভি স্টিফেন ৫২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
৩৩০—এই ম্যাচে মোট ৩৩০ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে (৩৫টি চার এবং ৩১টি ছয়)। এটি আইপিএল ম্যাচে বাউন্ডারি থেকে আসা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এবং এবং টি২০ ফর্ম্যাটে বাউন্ডারি থেকে আসা চতুর্থ সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১০ মরশুমে সিএসকে আরআর ম্যাচে চেন্নাইতে বাউন্ডারি থেকে ৩৩৬ রান হতে দেখা গিয়েছিল।
৪৫৯—এই ম্যাচের সর্বমোট রান উঠেছে ৪৫৯, যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। ২০১০ এ আরআর সিএসকে ম্যাচে দুলের রান মিলিয়ে মোট ৪৬৯ রান উঠতে দেখা গিয়েছিল।