পাকিস্থান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজাম শেঠি মনে করে যে ইন্দো-পাক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ফের চালু হওয়া একমাত্র ভারতের ইচ্ছার উপরেই নির্ভর করছে। এই দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্রে বর্তমান সোসিও পলিটিক্যাল সম্পর্ক এবং সুরক্ষা পরিস্থিতিই এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজকে ভীষণভাবে আটকে রেখেছে। বিসিসিআই এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এগিয়ে আসতে পারে একমাত্র যদি কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দেয়। এই মুহুর্তে এই দুই দেশ একমাত্র বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টি২০ বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের মত বহুদেশীয় প্রতিযোগিতাতেই একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে থাকে। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে এক কথাবার্তায় শেঠি জানিয়েছেন, “ প্রথমত, এই দুই দলেরই একে অপরের বিরুদ্ধে খেলা উচিৎ এই উপমহাদেশের মানুষের কথা মাথায় রেখেই। দ্বিতীয়ত, বল এখন বিসিসিআইয়ের কোর্টে। ব্যাস এটাই। আমরা আশা করছি খু দ্রুত এই ভাবনাটা প্রবল হবে এবং দু দলই আবার ভাল ক্রিকেট খেলায় ফিরে যাবে”।
আমার অনুভূতি হল এই সমস্তটাই অনেকটা বরফ গলার মত এবং একটা সময় বা কোনও একটা সময় আমরা একটা ভাল সংকল্প নিতে পারব”। পিসিবি ভারতের বিরুদ্ধে ৭০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবী করেছে ২০১৪ মেমরেন্ডম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং চুক্তি উলঙ্ঘন করে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অস্বীকৃত হওয়ায়। যে চুক্তির অধীনে ২০১৫ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে ৬টি সিরিজ খেলার কথা ছিল দুই দেশের। আগামি অক্টোবরে আইসিসি তিন সদস্যের প্যানেল এই ক্ষতিপূরনের ব্যাপ্যারটি খতিয়ে দেখবে। এই ব্যাপারে নাজম শেঠি বলেন, “ ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুসারে এই ব্যাপারটি নিয়ে বেশি কিছু বলার স্বাধীনতা আমার নেই। এই বিষয়ে কোনও কথা বলার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এগুলোই ওই ট্রাইবুনালের নির্দেশ”।
আইসিসির নতুন ফিউচার প্ল্যান ড্রাফট অনুসারে, ভারতের হাতে পাকিস্থান সিরিজ খেলার জন্য জায়গা খালি আছে। কিন্তু এটা ততক্ষণ সম্ভব নয় যতক্ষণ না ভারত সরকারের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়া যাচ্ছে। পিসিবি চেয়ারম্যান আরও মনে করেন সংবাদমাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিৎ ভারত-পাকিস্থান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চালু করার ব্যাপারে। ২০০৮ থেকে এখনও পর্যন্ত এই দুই দেশের মধ্যে একটি মাত্র সিরিজ খেলা হয়েছে, যখন পাকিস্থান দুটি টি২০ এবং তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলতে ডিসেম্বর ২০১২ এবং জানুয়ারি ২০১৩য় ভারত সফরে আসে। শেঠি আরও বলেন, “ আমি শুধু অবাক যে ভারতে যথেষ্ট কোনও সংবাদমাধ্যমের চাপ নেই ভারত পাকিস্থানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চালু করার ব্যাপারে। আমি নিশ্চিত যে দু’দেশের মানুষই চান এই দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট খেলা দেখতে। দুই দলের যথেষ্ট পরিমাণে গুডউইল রয়েছে আশা করি ভক্তদের আগ্রহেই এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। দুই বোর্ডের মধ্য কোনও সংঘাত নেই। সত্যিই কোনও সমস্যা নেই”।
পাকিস্থানের তারকা অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি সম্প্রতি ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন যে পাকিস্থান সুপার লিগ আরও বড় হবে এবং পয়সাবহুল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে পেছনে ফেলে দেবে। শেঠী আফ্রিদির এই স্টেটমেন্টের প্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করতে চান নি, কিন্তু জানিয়েছেন যে তারা তাদের সম্পুর্ণ চেষ্টা করছেন পিসিএলকে দেশের মাঠে ফিরিয়ে আনার।