
ইডেনে ভারত শ্রীলঙ্কার মধ্যে শুরু হতে চলা প্রথম টেস্টের উইকেটে তৈরি হওয়া আগ্রহ নিয়ে প্রাক্তণ অধিনায়ক এবং সিএবির প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলী জোর দিয়ে বলেছেন যে উইকেট ভীষণই ভালো হবে। কলকাতায় সাংবাদিকের সৌরভ বলেন, ‘ এটা বেশ ভালোই উইকেট হবে’। শেষবার ভারত এই আইকনিক স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলেছিল নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। বিরাট কোহলির দল ১৭৮ রানে নিউজিল্যান্ডকে হারানোর আগে সেই টেস্ট ভীষণই উত্তেজনাপূর্ণ হয়েছিলে। দু’দলের জোরে বোলারাই সেই উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছিল।
গত বছর কিউইদের বিপক্ষে খেলার আগে, ২000 সাল থেকে ইডেন গার্ডেনে হওয়া ৫টি টেস্টে পেসারদের গড় ছিল ৪৫.৩৮, যা দেশের আরও ৫৬টি ভেনুর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। এই সময়ের মধ্যে হওয়া ৯টি টেস্টে একজন মাত্র জোরে বোলারই টেস্টে ৫ উইকেট পেয়েছেন। ২০১৩-১৪ মরশুমে একমাত্র মহম্মদ শামীই টেস্টে ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। ম্যাট হেনরি, ট্রেন্ট বোল্ট, ভুবনেশ্বর কুমার এবং মোহাম্মদ শামির দুর্দান্ত পারফরমেন্সের সঙ্গে এই ট্রেন্ডটির পরিবর্তন দেখা যায় ২০১৬য়। সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের পেস ট্রায়ো হেনরি, বোল্ট এবং নেইল ওয়াগনার ৩১৬ রানে ঘরের টিমকে বেঁধে রেখে নিজেদের মধ্যে ৭ উইকেট ভাগ করে নেয়। তার আগে ভুবনেশ্বর কুমারের ৫ এবং শামীর ৩ উইকেট ভারতকে ১১২ রানের লিড পেতে সাহায্য করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ২৬৩ রানে আলআউট হয়ে যায়। হেনরি এবং বোল্ট পান ৩টি করে উইকেট। ভুবনেশ্বর এবং শামী আবারও নিজেদের হোস্ট হিসেবে সহায়ক প্রমান করে অতিথি দলকে ১৯৭ রানে আলআউট করে ম্যাচ জিতে নেন।
গাঙ্গুলীর কথা অনুযায়ী ইডেনে আবারও ভালো উইকেট পাওয়া যাবে। ১৬ই নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে একই রকম পারফরমেন্সের জন্য ভারত তার জোরে বোলারদের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবে। এছাড়াও সৌরভ বলেন যে ক্রিকেটার হওয়া অনেক বেশি কঠিন একজন প্রশাসক হওয়ার চেয়ে। তিনি বলেন, “ এখানে আপনি মিস করলেই আপনাকে বেরিয়ে যেতে হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে আপনি দ্বিতীয় সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু একজন ক্রিকেটার হিসেবে আপনি তা পাবেন না। খেলাটা সবসময়েই ভীষণ কঠিন, প্লেয়ারের জন্য কোনো রি-টেক থাকে না”।