অস্ট্রেলিয়ানরা ক্রিকেট মাঠে যেমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় ক্রিকেট খেলেন, তেমনই সোজা কথাটা মুখের ওপর সোজা ভাষায় বলতেই ভালোবাসেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন করার পর ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। তাঁর হাত থেকেই অস্ট্রেলিয়ান টিমের দায়িত্ব নিয়েছেন স্টিভ স্মিথ। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের মধ্য়ে সেই অজি ঝাঁঝ কিন্তু পুরোপুরি আছে বলা যাবে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা টেস্টে অগৌরব এসেছে এই কদিন আগেই। আবার ভারতে এসে একদিনের সিরিজে প্রথম একদিনের ম্য়াচেও অস্ট্রেলিয়াকে হারতে হল। তাই, ইডেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচে স্মিথের অধিনায়কত্ব চ্য়ালেঞ্জের মুখে বলছেন ক্লার্ক।

ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ধারাভাষ্য়কারের দায়িত্ব পালন করতে ক্লার্ক এখন ভারতে। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচ। তার আগে কলকাতার শহরতলী রাজারহাটে ক্রিকেট সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদারের ফ্য়ানাটিক স্পোর্টস মিউজিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মঙ্গলবারে এসেছিলেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্ত এবং ভারতীয় মহিলা দলের ক্রিকেটার ঝুলন গোস্বামীও যোগ দিয়েছিলেন।

ওই অনুষ্ঠানের ফাঁকে অজি দলনায়ক স্টিভ স্মিথ সম্পর্কে ক্লার্ক বলেন, ব্য়াটসম্য়ান হিসেবে স্মিথ সামনের সারিতে। আমার মতে বর্তমানে বিরাট কোহলি ও স্মিথ দুনিয়ার সেরা ব্য়াটসম্য়ান। আমার মনে হয়, এই সিরিজে স্মিথ আর ডেভিড ওয়ার্নার সবচেয়ে বেশি রান করবে। কিন্তু, স্টিভের অধিনায়কত্ব চ্য়ালেঞ্জের মুখে। কারণ, অস্ট্রেলিয়া প্রথম ম্য়াচে হেরে গিয়েছে। ইডেনে অস্ট্রেলিয়াকে জিততেই হবে সমতা ফেরাতে। এখানে বলে রাখা ভালো, ইডেনে বৃহস্পতিবার অজি অধিনায়ক তাঁর জীবনের একশোতম ওয়ান-ডে ম্য়াচ খেলতে নামছেন। ক্লার্কের মতে চেন্নাইতে ৮৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নেওয়ার পর ভারতকে আরও বেশি করে চেপে ধরতে পারত অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ান টিমের সেই নির্দয় খুনে মেজাজটার অভাব থাকায় ভারত ম্য়াচটা বের করে নিয়ে চলে যায় বলে মনে করছেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক। ক্লার্ক এরপর বলেন, ওই সময় দলের সেরা বোলারের হাতে বল তুলে দেওয়া উচিত ছিল। এমএস (ধোনি) ও হার্দিক (পান্ডিয়া)-কে আউট করা জরুরি ছিল। ভারতের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ওই সুযোগগুলিই কাজে লাগাতে হয় ম্য়াচ জিততে হলে। অস্ট্রেলিয়ান টিম এই ব্য়াপারটা ভালো করেই জানে। নেতা স্টিভ স্মিথ নিজেও জানে অস্ট্রেলিয়া আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেললে সেরা পারফর্ম করে। ইডেনে অস্ট্রেলিয়াকে জিততেই হবে।

উল্লেখ্য়, আটাশ বছরের স্টিভ স্মিথ ৫৬টি টেস্টে একটি দ্বিশতরান সহ ২০টি সেঞ্চুরি করেছেন। রান ৫,৩৭০। একদিনের ক্রিকেটে স্মিথের সংগ্রহ ৩,১৮৮ রান। আটটি শতরান ও সতেরোটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস রয়েছে এর মধ্য়ে। গড় ৪৩.৬৭। স্ট্রাইকরেট ৮৭.৩৯। সিরিজের প্রথম ম্য়াচে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে পাঁচ বলে মাত্র এক রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *