গত ম্যাচের আগে পর্যন্ত সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ইডেনে কোনও ম্যাচ জিততে পারে নি, ফলে শনিবার কলকাতার ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে নামার আগে যথেষ্ট চাপে ছিলেন কেণ উইলিয়ামসন। অন্যদিকে গত ম্যাচে সিএসকের বিরুদ্ধেও আশানুরূপ পারফর্মেন্স করতে পারে নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলে শনিবারের ম্যাচে চাপে ছিল মুখোমুখি দুদলই। টস জিতে হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক উইলিয়ামসন ফিল্ডিং নিতে এতটুকুও দ্বিধায় ভোগেন নি কারণ এই ২০১৮র মরশুমে অনুযায়ী রান তাড়া করে জেতাটাই ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই বিপর্যয়ের মুখে পোড়ে ঘরের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স। হায়দ্রাবাদের বোলার ভুবনেশ্বর কুমার প্রথমেই ফিরিয়ে দেন এই ম্যাচে কলকাতার হয়ে প্রথমবার মরশুমে ওপেন করতে নামা রবিন উথাপ্পাকে। কেকেআর অধিনায়ক কার্তিক এই ম্যাচে তাদের ব্যাটিং লাইনআইপে পরিবর্তন ঘটিয়ে নীতিশ রানাকে উপরের দিকে ব্যাট করতে পাঠান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা রানা এবং লিন মিলে কেকেআরের ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করলেও বেশিক্ষণ তা স্থায়ী হতে পারে নি।
হায়দ্রাবাদের বোলার স্ট্যানলেকও দুরত ফিরিয়ে দেন রানাকে। নারিনও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেন নি এবং সাকিব আল হাসানের হাতে আউট হয়ে ডাগ আউটে ফিরে যান। এরপর কার্তিকও কেকেআর ইনিংসকে নির্ভরতা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না এবং কেকেআর মাত্র ১৩৮ রানেই তাদের ইনিংস শেষ করে। অন্যদিকে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে হায়দ্রাবাদ। যদিও তাদের ওপেনার শিখর ধবন দ্রুত আউট হয়ে যান। কিন্তু ২৫ রান করেন আরেক ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা। মনীশ পান্ডেকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে কলকাতাকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন কুলদীপ যাদব। এরপরই হায়দ্রাবাদ ইনিংসে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই দুজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেন। হায়দ্রাবাদের ১৯ তম ওভারে উইলিয়ামসন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরিতে আউট হয়ে গেলেও এর পর ইউসুফ পাঠান গোটা দুয়েক বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান।
ম্যাচ শেষে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, “পরপর তিনটে ম্যাচে জয় স্পষ্টতই দারুণ ব্যাপার। আমাদের খেলার ভালোর দিকটা হল গত ম্যাচের থেকেও উন্নতি করা। দারুণ ফিল্ডিং ছিল। বোলারাও দারুণ বল করেছে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হল তারা এটা ধারাবাহিকভাবে করতে সক্ষম। যেভাবে ওরা এই তিনটে ম্যাচে জবাব দিয়েছে, তা অসাধারণ। ধরে নেওয়া যেতে পারে যে ছেলেরা এই ধরনের ভালো সারফেসে খেলার ব্যাপারে অভ্যস্ত। স্পিনারদের জন্য খুব বেশি টার্ন ছিল না, কিন্তু ওরা ভালো লেংথে বল করেছে। কেকেআর সত্যিই একটা দারুণ দল। ওদেরকে আটকে দেওয়াটা এবং রান তাড়া করাটা দুর্দান্ত ছিল”।