আইপিএল ২০১৮য় অসাধারন কামব্যাক করল রাজস্থান রয়্যালস, আর এখন তারা পর পর তিন ম্যাচ জিতে প্লে অফের দৌড়ে টিকে রয়েছে। অর্থাৎ এখনও তাদের আশা রয়েছে এবং যদি তারা আসন্ন দুটি ম্যাচে বড় ব্যাবধানে জিতে যায় তাহলে প্লে অফে পৌঁছতে পারে। গতকালের ম্যাচে জোস বাটলার দুরন্ত ব্যাটিং করেছেন এবং আবারও ৯০ এর বেশি রান করেছেন সেই সঙ্গে রাজস্থানকে ম্যাচ জিততেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। গতকালের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস প্রথমে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়।
যার পরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৮ রান করে মুম্বাই, যা পরে তাদের জন্য কমই প্রমানিত হয়। অন্যদিকে মুম্বাইয়ের এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ ওভারেই প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। এই ম্যাচে জস বাটলার দুরন্ত ব্যাটিং করে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন এবং বিরাট কোহলির রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি বীরেন্দ্র সেহবাগের রেকর্ডের সমান করে নেন। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভাল ২০১২ আইপিএলে সেহবাগ ধারাবাহিক পাঁচটি ম্যাচ হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। আর এই ম্যাচে ৯৪ রানের ইনিংস খেলার পরই চলতি আইপিএলে বাটলারও ধারাবাহিক পাঁচটি ম্যাচে হাফসেঞ্চরি পূর্ণ করলেন করে সেহবাগের বরাবরি করে নিলেন।
অন্যদিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি ২০১৬ মরশুমে দুরন্ত ব্যাটিং করে ধারাবাহিক চারটি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। যা আগেই ভেঙে দিয়েছেন বাটলার, এবং সেইসঙ্গে তিনি আইপিএলের দ্বিতীয় এমন ব্যাটসম্যানও হয়ে গেছেন যিনি লাগাতার পাঁচটি ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করলেন। ফলে যদি তিনি আগামি ম্যাচেও হাফ সেঞ্চুরি করেন তাহলে তিনি সেহবাগের রেকর্ডও ভেঙে ফেলবে।
বাটলারের ধারাবাহিক পাঁচটি ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরি
–৬৭ রান বনাম দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (২ মে, ফিরোজ শাহ কোটলা)
— ৫১ রান বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (৬ মে, হোলকর স্টেডিয়াম)
— ৮২ রান বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (৮ মে, সোয়াই মান সিং স্টেডিয়াম)
–৯৫* রান বনাম চেন্নাই সুপার কিংস (১১ মে, সোয়াই মান সিং স্টেডিয়াম)
— ৯৪* রান বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (১৩ মে, ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়াম)