রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু এই মরশুমে আরও একবার অলআউট ঝাঁপানোর জন্য তৈরি। যদিও গত এক দশকে তিনবার তারা ফাইনালের গণ্ডী টপকাতে ব্যর্থ হয়েছে। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান এবি ডেভিলিয়র্স নতুন মরশুমে তার দল নিয়ে দারুণ আশাবাদী। মাঠের বাইরে এই ফ্রেঞ্চাইজির আইপিএলের অন্যতম বড় ফ্যান বেস রয়েছে। বিরাট কোহলি, এবি ডেভিলিয়র্সের মত ব্যাটসম্যানরা গত কয়েক দশক ধরেই এই ফ্রেঞ্চাইজিকে সাফল্যে এনে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন এ বছর আবার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্রিস গেইলের মত ব্যাটসম্যান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা তিনবার ফাইনালে হেরে গিয়েছে। কিন্তু সবসময়ই খেতাব জেতার বড় ম্যাচে তারা জিততে পারে নি। কিন্তু ২০১৮র নতুন মরশুমে তাদের দলের ভারসাম্য নিয়ে এবি ডেভিলিয়র্স প্রচন্ড রকমের উৎসাহিত হয়ে রয়েছেন।
রয়্যাল চ্যালঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আগের থেকেও বেশি এই মরশুমের নিলামে তাদের দৃষ্টিকোনের দিক থেকে অনেক বেশি ব্যবহারিক ছিল। তারা তাদের দলে এ বছর যথেষ্ট পরিমাণে শ্রেষ্ঠ বোলারদের জায়গা দেওয়া নিশ্চিত করেছেন, যা সবসময়েই তাদের সবচেয়ে দুর্বল দিক ছিল। ৩৪ বছর বয়েসী এই ব্যাটসম্যান টাইম অফ ইন্ডিয়ায় তার কলামে লেখেন, “ এটা সম্ভবত আইপিএলের একাদশ তম সংস্করণ, এবং আরবিসির হয়ে আমার অষ্টম। কিন্তু প্রত্যাশার সাধারণ স্তর ইতিমধ্যেই আগের তুলনায় অনেক বেশি। প্রতি বছরই আইপিএলকে আগের থেকে বড় এবং উজ্জ্বল মনে হয়। এটা একটা গ্লোবাল স্পোর্টিং ফেনোমেনন। ২০১৮য় আরবিসির ক্লাস দারুণ উত্তেজনাময়। তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার ভারসাম্য, সতেজতা এবং সমস্যার সমাধান, সেইসঙ্গে ট্রফি জেতার জন্য মাঠে আমাদের সক্ষমতা অনুভব দেশ জুড়ে আমাদের সমর্থকদের প্রসন্ন করবে”।
আরসিবির বিস্ফোরণের জন্য তৈরি ইডেন গার্ডেন্স
শেষবার যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালোর ইডেনে খেলতে নেমেছিল, সেই সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলাররা তাদের শেষ করে দিয়েছিল। কলকাতার ১৩২ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪৯ রানেই তাদের ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন সিজনে খেলনে নামার আগে এটা সম্পুর্ণ নতুন দল তৈরি করেছে আরসিবি। এই মুহুর্তে কেকেআরের সেই সময়কার কোনও বোলারই আর দলে উপস্থিত নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও এটা রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বড় পরীক্ষা হতে পারে তাদের প্রথম ম্যাচেই। ডেভিলিয়র্স আরও লেখেন, “ এটা খুব শক্ত একটা শুরুয়াত। আমাদের দলের কাউকেই মনে করানোর প্রয়োজন নেই যে গত বছর আমরা ইডেনে ৪৯ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমরা পেছনে নয় সামনের দিকে তাকাতে চাই। ব্যাটে এবং বলে দুদিকেই আক্রমণের জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি, সেই সঙ্গে এই ম্যাচ আমরা এনার্জি, স্বভাব এবং সাহসের সঙ্গে খেলতে চাই”।