ভারতীয় ক্রিকেট্র আতুর ঘর মুম্বাই, ভারতীয় ক্রিকেটের দুই লিটল মাস্টার শচীন এবং গাভাস্কারের মুম্বাই, আমজনতার আমচি মুম্বাই। আর একদা ভারতীয় ক্রিকেটের এই আতুর ঘরেই মুম্বাইয়ের তথাকথিত সেরা ১১ জন প্লেয়ার মিলেও ১০০ রানের গণ্ডী পার করতে পারলেন না। আর ঘরের মাঠে নিজের জন্মদিনে গ্যালারিতে বসে নিজের দলের হার দেখতে হল মুম্বাইয়ের প্রিয় তেন্ডেলাকে। কমেন্ট্রি বক্সে বসে দেখলেন সুনীল গাভাস্কারও। মূলত শচীনকে জন্মদিনে জয় উপহার দিতেই মাঠে নেমেছিল রোহিত শর্মার ছেলেরা। কিন্ত ৪৫ তম জন্মদিনের উপহারটা পাওয়া হল না তেন্ডুলকরের। মাত্র ৮৭ রানে অল আউট হয়ে গেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ঘরের মাঠে ৩১ রানের ব্যবধানে হেরে রোহিত শর্মার দলের ঠাঁই হল আইপিএলের ৮টি দলের মধ্যে ৭ নম্বরে। আইপিএলে হাতের মুঠোয় আসা জয় হাতছাড়া করার অভ্যেস করে ফেলেছে তারা।
এই ম্যাচে ওয়াঙ্খেড়ে স্টেডিয়ামে যথেষ্ট আঁটোসাঁটো বোলিং করে মাত্র ১১৮ রানেই হায়দ্রাবাদকে আটকে দেন জসপ্রীত বুমরাহরা। কিন্তু এই সামান্য রানও তুলতে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মারা। এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ১০টি সংস্করণে এত কম রান করে কোনও দলই ম্যাচ জিততে পারে নি। এই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ইনিংসের ৬ ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার ঈশান কিষান এবং এভিন লুইস ছাড়াও ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। সূর্যকুমার যাদব এবং ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতানোর মরিয়া চেষ্টা করলেও হায়দ্রাবাদের দুই স্পিন জুটির বিষাক্ত ছোবলে মাঝের ওভারগুলিতে রান ওঠার গতি কমে যায় মুম্বাইয়ের।
দ্রুতই ৬১/৩ থেকে ৭৭/৬ হয়ে যায় তারা। দলের রান ৮০তে পৌঁছতে পৌঁছতে আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে তার। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারে নি তারা। ম্যাচ শেষে হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন জানান, “পরিস্কারই এটা একটা কঠিন উইকেট। আমরা আমাদের ব্যাটসম্যানদের কাছে অনেকটাই আশা করেছিলাম। এটা দারুণ মজার। টি২০তে অবশ্যই দ্রুত অনেক কিছুই ঘটে যায়। এটা আমাদের জন্য দুর্দান্ত সেকেন্ড হাফ, কিন্তু এখনও আমাদের সম্পূর্ণ দলগত পারফর্মেন্স করতে হবে। আমাদের দলে গভীরতা রয়েছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একই সময়ে সেরা ব্যাপার যেটা সেটা হল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা কতটা ভাল পারফর্মেন্স করেছে”।