ঘরের মাঠে ৭১ রানে জয় তুলে নিয়ে তাদের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে কড়া জবাব দিল দীনেশ কার্তিকের নেতৃত্বাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্স। টসে হেরে ঘরের মাঠে প্রথম ব্যাট করতে নামে নাইটরা। শুরতেই তাদের ওপেনার নারিনকে হারিয়ে ফেলে তারা। এই ম্যাচে সুনীল নারিন মাত্র এক রান করে আউট হন। এরপরই কেকেআর ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন আরেক ওপেনার ক্রিস লিন এবং সহ অধিনায়ক রবিন উথাপ্পা। কিন্তু বেশ কিছু ভালো শট খেলার পর এই দুজনেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। এখান থেকেই কেকেআরের ব্যাটিংয়ের হাল ধরনে নীতিশ রানা এবং অলরাউন্ডার অ্যান্দ্রে রাসেল। ৩৫ বলে ৫৯ রানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন রানা। অন্যদিকে শুরু থেকেই রাসেল ছিলেন মারমুখি মেজাজে।
দিল্লির জোরে বোলার শামিকে তিনি মোট ৬টি ছয় মারার পাশাপাশি মাত্র ১২ বলে ৪১ রান করেন। অবশ্য শেষ ওভারে এই ম্যাচে ফিরে আসে দিল্লি। শেষ পাঁচ বলে মাত্র ১ রান দেওয়ার পাশাপাশি কেকেআরের ৩ উইকেট তুলে নেন তারা। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০০/৯ রান করে নাইটরা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির ব্যাটিংও খুব একটা সুবিধা করতে পারে নি। প্রথম তিন ওভারে নিজেদের ব্যাটিং লাইনআপের শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলেন তারা। এরপরই তাদের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দিল্লির ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তুলে নেন।
কিন্তু কেকেআরের সেরা তিন স্পিনারের সামনে তারাও বেশক্ষণ টিকতে পারেন নি। শেষ পর্যন্ত স্পিনারদের সৌজন্যেই দিল্লির ব্যাটিং লাইনআপ মাত্র ১৩ ওভারেই ১২৯ রানে ধসে পড়ে। ম্যাচ শেষে স্পষ্টতই হতাশ দিল্লির অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর বলেন, “আমাদের কেকেআরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, ওরা সত্যিই দারুণ খেলেছে। একসময় আমারা মনে করেছিলাম ওরা ১৭০-১৭৫ এর বেশি যেতেই পারবে না, কিন্তু তারপর ২০০ পর্যন্ত যাওয়া সত্যিই ওদের কৃতিত্ব। আমরা জানতাম এই রান তাড়া করাটা একটু কঠিনই হবে কারণে ওদের তিনজন কোয়ালিটি স্পিনার রয়েছে। আমার মনে হয় আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারি নি। রাসেলের মত কেউ যখন বোলারদের মারতে শুরু করে, তখন তাকে আটকানো সত্যিই কঠিন। এমনকী আমরা রাউন্ড দ্য উইকেটও বল করার চেষ্টা করেছি। আমাদের আলাদা পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু সেই প্ল্যানগুলোকে কার্যকর করা সত্যিই কঠিন ছিল। প্রচুর বল আমরা ওর র্যালডারের কাছাকাছি করেছি। আমাদের কাছে গুরুত্বপুর্ণ ঘরের মাঠে ম্যাচ জেতাটা, সেখানে ওদের মধ্যে প্রায় পাঁচজন রয়েছে যারা ঘরের মাঠে খেলছে। পরের ম্যাচটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদি আমরা জিততে চাই। যদি আমরা ব্যাঙ্গালোরে জিততে পারি, তাহলে আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যাবে। এখনও আমাদের কাছে ১০টি ম্যাচ বাকি রয়েছে এবং প্রচুর পরিশ্রমও করার রয়েছে”।