এই মুহুর্তে ভারতে শুরু হয়েছে বহু চর্চিত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেট প্রেমীদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মত। বিশ্বের তাবড় তাবড় শ্রেষ্ট খেলোয়াড়রা অংশ নেন এই পয়সা বহুল জাঁকজমকপূর্ণ প্রতিযোগিতায়। ফলে বিশ্বজুড়ে যে এই প্রতিযোগিতা ঘিরে ক্রিকেট মাতামাতি হবে তা বলাই বহুল্য। কিন্তু এই আইপিএলের দাপটেই সমস্যায় পড়ে গিয়েছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। আগামি শুক্রবার থেকেই শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ডের এই ঐতিহ্যপূর্ণ কাউন্টি মরশুম। আর তাতেই থাবা বসিয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। কেন? আসলে আইপিএলে অর্থে ছড়াছড়ির কারণেই ইংল্যান্ড কাউন্টি ক্রিকেটাররা বেশি পয়সা রোজগারের চেষ্টায় আইপিএলে অংশ নিয়েছেন। ফলে স্থানীয় ক্রিকেটাররা আইপিএলে চলে যাওয়ায় নতুন মরশুমে কাউন্টি দলগুলি তাদের দলের পরিকল্পনা ঠিক মত করতেই পারছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলগুলি।
আর এখন তারা ব্যস্ত এই জাঁকজমকপূর্ণ টি২০ প্রতিযোগিতার আগ্রাসি মনোভাবের হাত থেকে বাঁচার উপায় খুঁজতে। এই নিয়ে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দলগুলি সম্প্রতি একটি আলোচনায় বসেছিলেন। বিলেতের এই ঘরোয়া ক্রিকেটে মোট ১৮টি অংশ নেয়। তবে এসেক্স কাউন্টি দল বাদ দিয়ে বাকি ১৭টি দলই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। সেই আলোচনার মূল বিষয় ছিল ইংলিশ ক্রিকেটাররা কাউন্টি ক্রিকেট খেলার চেয়ে আইপিএল খেলাতেই বেশি আগ্রহী। এই মুহুর্তে মোট ১২ জন ইংলিশ ক্রিকেটার আইপিএলের ৮টি ফ্রেঞ্চাইজির হয়ে খেলছেন। ফলে সেরা প্লেয়াররা চলে যাওয়ায় দল গড়তেও সমস্যায় পড়ছেন তারা।
ওই বৈঠকে এদিন ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের কাছে কাউন্টি ক্লাবের প্রিতিনিধিরা অনুরোধ করেছে যে আইপিএলের কারণে যাতে ইংল্যান্ডের এই ঐতিহ্যবাহী লিগের অস্তিত্ব নষ্ট না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে। যদিও ইসিবির তরফ থেকে এখনও কিছু জবাব দেওয়া হয় নি তাদের। যদি এ ব্যাপারে ইসিবি কাউন্টি ক্রিকেটকে বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ নেয় তাহলে আগামি বছর ইংলিশ ক্রিকেটার আইপিএলে খেলার ব্যাপারে সমস্যা দেখা দিতে পারে।