অধিনায়ক গম্ভীরের প্রস্থানে ভাগ্যও প্রত্যাবর্তন করল ডেয়ারডেভিলস শিবিরে। শুক্রবার নতুন অধিনায়কের হাত ধরে ঘরের মাঠে কেকেআরের বিরুদ্ধে ৫৫ রানের জয় তুলে নিল তারা। টস জিতে কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমানিত করেন দিল্লির দুই ওপেনার কলিন মুনরো এবং তরুণ পৃথ্বী শ’। এই দুজনে মিলে প্রথম উইকেট জুটিতে ৫০ রান তোলে। শেষ পর্যন্ত পৃথ্বী শ করেন ৬২ রান। এদিন বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন কেকেআরের তরুণ অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। এদিন কেকেআর বলিংকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করে ৩টি বাউন্ডারি এবং ১০ ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪০ বলে অপরাজিত ৯৩ রান করেন তিনি। মূলত তার ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ২১৯/৪ রান করে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিনকে হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় কেকেআর। দারুণ শুরু করেও শেষ পর্যন্ত নিজের ইনিংসকে বড় রানে পর্যবসিত করতে পারেন নি সুনীল নারিন। কলকাতার মিডল অর্ডারও এদিন চাপের মুখে ভেঙে পড়ে। তাদের মিডল অর্ডারে রবিন উথাপ্পা, নীতিশ রানা, দীনেশ কার্তিক সকলেই ব্যর্থ। তরুণ শুভম গিল এবং রাসেল কিছুটা চেষ্টা করলেও দিল্লির বোলাররা এদিন ছিলেন যথেষ্ট ভাল ফর্মে। শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে থেমে যায় তাদের যাবতীয় ব্যাটিং। এই ম্যাচ ঘরের মাঠে ৫৫ রানে জিতে এই মরশুমে তাদের দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় দিল্লিও।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে এই ম্যাচের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ তথা দিল্লির নতুন অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন,
“অবশ্যই জয়ী দলে থাকতে পারাটা দারুণ অনুভব। অধিনায়ক হিসেবে আমার প্রথম ম্যাচ জিততে পারাটা অসাধারণ অনুভূতি। আমরা সকলেই এই জয়ে যোগদান দিয়েছি। আমরা প্রথমে বল করতে চেয়েছিলাম। তাই টস হারাটা দারুণ। এটা ব্যাটসম্যানদের স্বাধীনতা দিয়েছে নিজেদেরকে এক্সপ্রেস করতে। ও (পৃথ্বী) মরশুম শুরু হওয়া থেকেই দারুণ ব্যাট করছে। এমনকী আইপিএলের আগে প্র্যাকটিস ম্যাচেও। এটা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ যে ও কিভাবে শুরু করছে। শুরুর দিকে ওর সঙ্গে কলিন মুনরো ৫০ রান যোগ করেছে এবং এটা দলকে লাভ দিয়েছে। লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট আমাদের কাছে স্বাভাবিক পছন্দ। ও যে ওভারেই বল করে থাকুক না কেন ও আমার কাছে এসে বলে যে ও ১৬ ১৭ ওভারে বল করতে চায়। যখন বোলাররা আমার কাছে আসে এবং কথা বলে আমি এটা সত্যিই পছন্দ করি। এটা সত্যিই খুব ভাল”।