Asia Cup 2025: আজ গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে ভারত মুখোমুখি ওমানের (IND vs OMN)। আমিরশাহী ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরপর দু’টি জয়ের সুবাদে ইতিমধ্যেই এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও তাঁদের কাছে কার্যত সময়ের অপেক্ষা। প্রতিপক্ষ ধারে-ভারে অনেক পিছিয়ে থাকলেও তাদের হাল্কাভাবে যদিও নিচ্ছে না ‘মেন ইন ব্লু।’ গত দুই ম্যাচে স্বল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হয়েছে ভারত’কে। আজ তাই ব্যাটিং লাইন-আপ’কে দেখে নিতে চায় দল, টস জয়ের পর জানান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav)। ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে আজ নিরন্তর পরীক্ষানিরীক্ষা করতে দেখা গেলো কোচ গম্ভীরকে। একমাত্র দুই ওপেনার ছাড়া নিজস্ব ব্যাটিং পজিশনে খেলেন নি কেউই। তা সত্ত্বেও নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৮। অর্ধশতক সঞ্জু স্যামসনের।
Read More: CAB সভাপতি হিসেবে নয়, আবারও BCCI’এর প্রেসিডেন্ট পদে ফিরছেন সৌরভ গাঙ্গুলী !!
উজ্জ্বল সঞ্জু, অন্ধকারে শুভমান-

প্রায় ১৩ মাসের বিরতির পর এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) টি-২০ দলে কামব্যাক করেছেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। তাঁকে কেন্দ্রে রেখেই যে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ভারত, তা স্পষ্ট হয়েছে পাঞ্জাবের তরুণের হাতে সহ-অধিনায়কত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া থেকেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রত্যাবর্তন বিশেষ সুখের হয় নি তাঁর। আমিরশাহীর বিপক্ষে অপরাজিত ছিলেন ২০ করে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্টাম্পড হন ১০ রানের মাথায়। আজ দুই অঙ্ক’ও ছুঁতে পারেন নি তিনি। ৮ বলে ৫ করেই বোল্ড হন শুভমান। তাঁকে ফেরান শাহ ফয়জল। বিশ্বের পয়লা নম্বর টি-২০ ব্যাটার অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma) শুরুটা করেছিলেন চেনা মেজাজেই। কিন্তু আরও একবার ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে ব্যর্থ হন তিনি। ১৫ বলে ৩৮ করে জিতেশ রামানন্দীর বলে উইকেট ছুঁড়ে আসেন তিনি।
আজ তিন নম্বরে নামানো হয়েছিলো সঞ্জু স্যামসনকে (Sanju Samson)। টপ-অর্ডারে ফের একবার নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিলেন কেরলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। অহেতুক তাড়াহুড়ো করেন নি তিনি। প্রথমে সময় নিয়ে ক্রিজে থিতু হন, তারপর হাত খুলতে দেখা যায় তাঁকে। ৪৫ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে টিম ইন্ডিয়াকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করান সঞ্জু। চারে নেমে বেশীদূর এগোতে পারেন নি হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। ১ বলে ১ করে রান-আউট হন তারকা অলরাউন্ডার। অক্ষর প্যাটেলকে (Axar Patel) কোচ গম্ভীর নামিয়েছিলেন পাঁচ নম্বরে। ১৩ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ক্যামিও এলো তাঁর ব্যাট থেকে। ৪৫ রানের জুটিও গড়েন সঞ্জু’র সাথে। শিবম দুবে’কে নামানো হয়েছিলো ছয় নম্বরে। হতাশ করেছেন তিনিও। ৮ বলে ৫ করে আমির কলিমের বলে উইকেট হারান দীর্ঘদেহী পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
নামলেনই না সূর্যকুমার-

সাধারণত তিন বা চার নম্বরে ব্যাটিং করে থাকেন তিলক বর্মা (Tilak Varma)। কিন্তু তাঁকে পাঠানো হলো সাত নম্বরে। জিতেশ রামানন্দীর দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ১৮ বলে ২৯ রান করেন তিনি। মারেন ২টি ছক্কা ও ১টি বাউন্ডারি। হর্ষিত, আর্শদীপ, এমনকি কুলদীপকেও (Kuldeep Yadav) ব্যাট করতে নামায় টিম ইন্ডিয়া। শুধু সাজঘরে রয়ে গেলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। আগামী রবিবারই রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোর পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তার আগে হঠাৎ ব্যাটিংয়ে অনীহা কেন ‘মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রীর?’ ধোঁয়াশায় ক্রিকেটজনতা। শুভমান, শিবমদের ব্যাটিং নিয়েও রয়েই গেলো প্রশ্ন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ওমানের বোলিং লাইন-আপ কিন্তু নজর কাড়লো। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচ করে ২ উইকেট নেন শাহ ফয়জল। জোড়া সাফল্য জিতেন রামানন্দী ও আমির কলিমেরও।