ভুল। তাও আবার ক্রিকেটের ঈশ্বরের। অবিশ্বাস্য়। এমনটা আবার হয় নাকি! কোটি কোটি মানুষের রোল মডেল। প্রায় আড়াই দশকের ক্রিকেট জীবনে একবারও যিনি ক্রিকেট মাঠে কেনো, মাঠের বাইরেও ভুল করে মাথা গরম করার ভুল করেননি। কোনওদিন কাউকে ভুল পরামর্শ পর্যন্ত দেননি। সেই তিনিই কিনা, এমন ভুল করে বসলেন। তাও আবার সোশ্য়াল মিডিয়াতে। আর তা করে বসলেন নিজের অজান্তেই। আবার বিষয়টা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতেই তৎক্ষণাত ভুল শোধরানোর চেষ্টা। কিন্তু, ততক্ষণে সেই ভুলের ফাঁদে পা দিয়ে দিয়েছেন অগণিত ভক্তকূল।

ঘটনাটি ঘটেছে মাক্রো-ব্লগিং ওয়েবসাইট ট্য়ুইটারে। আর সেই কারণে বিষয়টি চিন্তার। ওখানেই শেষ নয়, ক্রিকেট গডের ভুলটি যিনি ধরে দেন, সেই তার কাছেই গোটা ভারতবাসীকে প্য়াঁক খেতে হলো। সারা বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকজন সেলিব্রিটি আছেন, যাঁদের শচীনের মতো এমন স্টারডম। যাঁদের ফ্য়ানেরা অন্ধের মতো অনুসরণ করে। যাঁদের যে কোনও উপদেশ বেদবাক্য় তূল্য়। উপদেশ কতটা স্বাস্থ্য়কর তাও ভেবে দেখেননা কেউ, মানুষ যখন শচীন। সেই ছোটো থেকে যাঁকে দেখে বড় হয়েছে আজকের জেনেরেশন জেডকে গাইড করা জেনেরেশন ওয়াই।
স্বাস্থ্য় সম্পর্কে সচেতন একটি উদ্ভাবনী উদ্য়োগের প্রচারে জন্য় ট্য়ুইটারে একটি ট্য়ুইট করেন শচীন। উদ্য়োগটি ভালো হলেও, প্রচারের বার্তাটিতে ভুল করে বসেন ক্রিকেট গড।
কি ছিলো সেই ভুল –
শচীনের ট্য়ুইট : আপনাদের এরকম বন্ধু আছে, যাঁরা স্বাস্থ্য় সম্পর্কে সচেতন নয়? নো এক্সকিউজ হ্য়াসট্য়াগ দিয়ে তাঁদের শহর আর ফোন নম্বর দিয়ে ট্য়ুইট করুন। আমি তাঁদের ফোন করে ফিটনেস নিয়ে খানিকটা অকারণ বকবক করব।
ব্য়াস, শচীনের এই ট্য়ুইটটি করার সঙ্গে সঙ্গে অগণিত ভক্তকূল কোনও রকম ভাবনা চিন্তা না করেই তাঁদের বন্ধুদের ফোন নম্বর ট্য়ুইটারে পোস্ট করতে শুরু করেন। একবারের জন্য় হলেও কারও মাথায় আসেনি সোশ্য়াল নেটওয়ার্কিং সাইটে এধরণের ব্য়ক্তিগত তথ্য় শেয়ার করতে নেই। এর থেকে অনেক বিপত্তি আসতে পারে। সমালোচকরা বলছেন, শচীনের মতো একজন সচেতন নাগরিকের এবিষয়টা মাথায় আসা উচিত ছিল ওই ধরণের ট্য়ুইট করার আগে। বিশেষ করে তিনি যখন সারা বিশ্বের মানুষের রোল মডেল।
শচীনের এই ট্য়ুইটটি ট্রেন্ডিং হতে দেখেই এক অজি ওয়েব সিকিউরিটি এজেন্সির থেকে আধিকারিকরা শচীনের ভুলটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে ট্য়ুইট করেন।
জনৈক আধিকারিক ট্রয় হান্টের ট্য়ুইট : ভারতীয়দের থেকে কিভাবে ফোন নম্বর বের করতে হয়? একজন স্বনামধন্য় ক্রিকেটারকে দিয়ে বন্ধুদের ফোন নম্বর চেয়ে নিলেই কেল্লা ফতে।
আরেক ব্য়ক্তি কার্তিক দয়ানন্দ ট্য়ুইট করেন : ব্য়ক্তিগত তথ্য় সবার সামনে আনা হচ্ছে। ব্য়ক্তিগত তথ্য় (বিশেষ করে মোবাইল নম্বর) এভাবে শেয়ার করলে আপনি ব্য়ানড হতে পারেন (পড়ুন ট্য়ুইটার থেকে)। হতে পারে জেলও।

ট্য়ুইটগুলির আসার কিছুক্ষণ পর শচীন তাঁর ভুল বুঝতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে নিজের ট্য়ুইটটি ট্য়ুইটার থেকে সরিয়ে নেন।