অবশেষে একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল আইসিসি। বড় এক সুসংবাদ পেল আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেট দল। লন্ডনে সদ্য আইসিসি–র বার্ষিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দিল বিশ্বক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। এই সিদ্ধান্তের ফলে এখন থেকে আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তান ১১ এবং ১২তম ক্রিকেট খেলিয়ে দেশ হিসেবে টেস্ট খেলতে পারবে।
দুই দেশের বোর্ডই আইসিসি–র কাছে পূর্ণ সদস্য হওয়ার আবেদন করেছিল। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও দেশকে টেস্ট সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হলে বিশ্বের বাকি টেস্ট ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের ভোটের প্রয়োজন হয়। সেটাকে মাথায় রেখে ওভালে সব টেস্ট খেলুড়ে দেশকে নিয়ে আলোচনায় বসে আইসিসি। সেখানে আইসিসির বার্ষিক সভায় কোনও বিরোধিতা ছাড়াই আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবার থেকে এই দুটি দল খেলতে পারবে পাঁচ-দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

এখানে দেখুনঃ বলিউড সুন্দরীদের মন কেড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া!
এর আগে আইসিসি–র দশম দেশ হিসেবে ২০০০ সালে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পায়। তার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে নতুন কোনো দেশ আইসিসি–র কাছ থেকে টেস্ট স্ট্যাটাস পায়নি। প্রায় দেড় দশক বাদে এই প্রথম দুটি দেশকে পূর্ণ সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হল। এতদিন সহযোগী দেশের মর্যাদা নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় মাঠে নামতো এই দুটি দেশ। তবে এবার থেকে মুহাম্মদ নবি, রশিদ খান, এড জয়েস-রা সাদা জার্সিতে আইসিসি–র ম্যাচ খেলতে পারবেন।
১৯৮২ সাল পর্যন্ত বিশ্বক্রিকেট আঙিনায় টেস্ট খেলুড়ে দেশ ছিল মাত্র সাতটি। ওই বছরই টেস্ট খেলার স্বীকৃতি পায় শ্রীলঙ্কা। তার পর ১৯৯২ সালে পূর্ণ সদস্যপদ পায় আফ্রিকা মহাদেশের নামকরা দেশ জিম্বাবোয়ে। এর প্রায় আট বছর পর ওই তালিকায় উঠে আসে পদ্মাপারের দেশটি। তার পর এবার ওই তালিকায় সবাইকে চমকে দিয়ে ভেসে উঠলো আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের নামটা। উন্নতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আয়ারল্যান্ড ২০০৭ সালে প্রথমবার ওয়ান ডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে। অভিষেকেই তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে বড় অঘটন ঘটিয়ে দেয়। তার পর দুটি বিশ্বকাপেই অংশগ্রহণ করেছে তারা।

আফগানিস্তানের উত্থান বেশ চমকপ্রদ। ২০১১ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সময় ওয়ান ডে মর্যাদা পাওয়ার মধ্য দিয়ে সেরাদের তালিকায় উঠে আসার পথ তৈরি হয় তাদের। তার পর ২০১৩ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি আইসিসি–র সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলে আফগানিস্তান। সেবারে তারা বিশ্বের বেশ কয়েক’টি নামজাদা দলকে রীতিমতো উড়িয়ে দেয়। যার ফলে তারা সহজে টি-২০ বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণ করে। টি-২০বিশ্বকাপেও দারুণ পারফরম্যান্স করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল দেশটি। সম্প্রতী আফগানিস্তানের কাছে একটি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে হার স্বীকার করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
