মুম্বই: বিরাট কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অনিল কুম্বলে। এর আগেই অবশ্য কুম্বলের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। কারণ কিছুদিন আগেই কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে কুম্বলের নাম ছাড়াই দল ঘোষণা করে ভারত। এর পরই কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেন কুম্বলে। সেবার বিসিসিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় দলের কোচ হতে চেয়ে আবেদন করেন ভারতীয় ত্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগ, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন কোচ টম মুডি ও ইংল্যান্ডের রিচার্ড পাইবাস। এ ছাড়া ভারতীয় ক্রিকেটার লালচাঁদ রাজপুত ও ডোডা গণেশও এই তালিকায় রয়েছেন।
কুম্বলে পদত্যাগ করায় কোচ নির্বাচনের বিষয়টা নতুন মোড় নিয়েছে। কোচ হওয়ার তালিকায় আরও কিছু আবেদনপত্র চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে কোচের পদের জন্য অনিল কুম্বলেই ছিলেন অটোমেটিক চয়েস। তবে প্রাক্তন এই স্পিনার পদত্যাগ করায় আরও কয়েকটি আবেদন চাইছে ভারতীয় বোর্ড। দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, রবি শাস্ত্রীকে কোচ করার জন্যই নতুন করে আবেদন চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ এর আগের বিজ্ঞাপনে কোচ হওয়ার জন্য রবি শাস্ত্রী আবেদন করেননি। কিন্তু তাঁকে নাকি কোচ হিসেবে পছন্দ করেছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
এরপরই কোচ হিসেবে নতুন করে আবেদন চাইল বিসিসিআই। এর আগে ভারতীয় দলের টিম ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন শাস্ত্রী। ভারতীয় বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে, নতুন করে কোচের পদে আবেদন করার জন্য ৭ থেকে ১০ দিন সময় দেবে ভারতীয় বোর্ড। শাস্ত্রী যদি এর মধ্যে আবেদন করেন তাহলে কোহলিদের পরবর্তী কোচ হিসেবে প্রাক্তন এই অলরাউন্ডারকে দেখার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে কোচ নিয়ে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি যে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নতুন কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালীন ভারতীয় কোচ এবং অধিনায়কের মধ্যে সম্পর্কটা ক্রমশ খারাপ হয়। জল এতদূরই গড়ায় যে, কুম্বলের সঙ্গে প্র্যাকটিসে কথা বলতেও দেখা যায়নি বিরাট কোহালিকে। দেশের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা সফরের আগে অবশ্যই ভারতের কোচ বেছে ফেলা উচিত।