ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দু’বারের চ্যাম্পিয়ন টিম কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। এমনকি ভারতের এ্রই ক্রোড়পতি লিগে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে চলেছে কিং খানের এই কুড়ি–বিশের দলটি। ভারতের এই ঘরোয়া লিগে দারুণভাবে সফল হওয়ার পর প্রথম ভারতীয় হিসেবে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও একটি দল কেনেন তিনি। এমনকি শাহরুখের সেই দল ত্রিনিবাগো নাইট রাইডার্স ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও দূর্দান্ত পারফরম্যান্স করে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। ক্রিকেট আঙিনায় এমন সাফল্যকে মাথায় রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টি–২০ গ্লোবাল লিগেও দল কেনার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। এতদিন পর এবার সেই লিগেও একটি দল কেনার ব্যাপারে মনোস্থির করে ফেললেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক কিং খান।


আইপিএলের ধাঁচে শুরু হতে চলা দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেট লিগেও থাকবে আটটি দল। আগামী ১৮ জুনে ঐতিহ্যশালী লর্ডসে ঘোষণা হবে ওই দলগুলির মালিকের নাম। সূত্রের খবর, এসআরকে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নাকি ওই ক্রিকেট লিগে নিজেদের দল রাখার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক শাহরুখ অবশ্য জোহানেসবার্গ কিংবা কেপটাউনের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক দল কিনতে ইচ্ছুক। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য জোহানেসবার্গ এবং কেপ টাউনের দুটি করে ফ্র্যাঞ্চাইজির পাশাপাশি টি–২০ গ্লোবাল লিগে ব্লুমফনটেইন, প্রিটোরিয়া, পোর্ট এলিজাবেথ এবং ডারবান ফ্র্যাঞ্চাইজিকে রেখেছে বিক্রির জন্য।
খোদ দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডও তাদের এই কুড়ি–বিশের টুর্নামেন্টের গ্ল্যামার বাড়াতে শাহরুখ খানকে দল দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী। কারণ কিং খানের সমর্থক ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগিয়ে আইপিএলের মতো নিজেদের দেশের ওই গ্ল্যামারাস ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি সফল করতে চাইছে হারুন লর্গ্যাটের ক্রিকেট বোর্ড। এরই মধ্যে জোহানেসবার্গের বিভিন্ন রাস্তায় শাহরুখ খানের নামে পোস্টার ভরে গিয়েছে। ক’দিন আগে নাকি খোদ শাহরুখ খান দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে নিজের এক প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন। অনেকের ধারণা, ওই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সামনের টি–২০ গ্লোবাল লিগে শাহরুখ কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।


উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জোহানেসবার্গ এবং কেপ টাউনের ফ্র্যাঞ্চাইজি–র দর আগামী ১০ বছরের জন্য ধার্য করা হবে ৫০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া বাকি চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি–র দর আগামী ১০ বছরের জন্য নির্ধারণ করা হবে ৩০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া টুর্নামেন্টে বার্ষিক বেতনের জন্য ভারতীয় অর্থমূল্যে ১০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের আইপিএলে এর পরিমাণ ছিল ৬৬ কোটি টাকা।