মারাত্মক তথ্য় প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড অ্য়ান্টি-ডোপিং এজেন্সি (ওয়াড়া)। ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছে এক ভারতীয় ক্রিকেটার। বিশ্ব ডোপিং বিরোধী সংস্থার ২০১৬ সালে করা ডোপ টেস্টের রেজাল্টে ওই ক্রিকেটারের মূত্রের নমুনায় নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া গিয়েছে। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছে। আর তা থেকেই মিডিয়ার সামনে এসেছে এই খবর। যে সময় ডোপ টেস্টে করানো হয়েছিল, সে সময় রঞ্জি ট্রফি, দলীপ ট্রফি, আইপিএল ও ইরানি ট্রফি‘র মতো সবরকম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটেও অংশ নিয়েছিল সংশ্লিষ্ট ওই ক্রিকেটার।
ওয়াড়া‘র প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) মোট ১৫৩ জন ক্রিকেটারকে ডোপ টেস্ট করাতে পাঠিয়েছিল গত বছর। এর মধ্য়ে থেকে একজনের ডোপ টেস্টের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। তার মূত্রের নমুনায় নিষিদ্ধ মাদকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছ।
ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা ক্রিকেটারের নাম এখনও প্রকাশ না করা হলেও, তা শীঘ্রই জানাবে বিসিসিআই। এর আগে, অনূর্ধ্ব-১৯ টিমে খেলা প্রদীপ সাংওয়ান ২০১৩ সালে ধরা পড়েছিলেন আইপিএল ক্রিকেটে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার সময়। সাংওয়ানের পর দ্বিতীয় কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার ডোপিংয়ের দায়ে ধরা পড়ল সম্প্রতি।
২০১৬ সালের অ্য়ান্টি ডোপিং রেকর্ডে ১৩৮ জন ক্রিকেটারের নাম ‘ইন কম্পিটিশন‘, মানে ডোপ টেস্টের সময় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের মধ্য়ে রয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। ওই তালিকাতেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের নাম রয়েছে। সেই সময় ডোপ করেই বিসিসিআই পরিচালিত সব ঘরোয়া ক্রিকেটেই অংশ নিয়েছিল ধরা পড়া ওই ভারতীয় ক্রিকেটার। কোনও রকম বিতর্ক এড়াতে ওয়াড়া জানিয়ে দিয়েছে, ওই ভারতীয় ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটেই অংশ নিয়েছিল সেই সময়। আইসিসি পরিচালিত কোনও আন্তর্জাতিক ম্য়াচে অংশ নেয়নি সে।
প্রকাশিত তালিকায় ‘আউট অফ কম্পিটিশন‘ বা কোনও রকম প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে অংশ না নেওয়া যে পনেরো জনের নাম রয়েছে, তাঁদের টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ এসেছে।
এদিকে, ডোপ টেস্টে ধরা পড়া ক্রিকেটারের নাম জানতে চাওয়া হলে বিসিসিআই তা পুরো এড়িয়ে গিয়েছে। বোর্ডের বক্তব্য়, ওয়াড়া থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত রিপোর্ট পায়নি তারা। বোর্ডের পক্ষ থেকে এক উচ্চ-পদস্থ আধিকারিক মিডিয়াকে এই কথাও জানান, যেহেতু তাঁরাও জানেন না, কোন ক্রিকেটারের রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে, সেজন্য় এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।
‘অ্য়াডভার্স অ্য়ানালিটিকাল ফাইন্ডিংস (এএএফ)‘ পদ্ধতিতে ১৫৩ জন ক্রিকেটারের মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করা হয় গত বছর। ফলে, কোনও ক্রিকেটারেরই রক্তেন নমুনা পরীক্ষা করার দরকার পড়েনি।
গত বছর আইসিসি‘ও মোট ৫৬১ জন ক্রিকেটারকে ডোপ টেস্টে বসিয়েছিল ওয়াড়া‘তে। এর মধ্য়ে ২৪৪ জন ‘ইন কম্পিটিশন‘ তালিকাভুক্ত ক্রিকেটার। তাদের মধ্য়ে থেকে আবার একজনের এএএফ পদ্ধতিতে এবং একজনের এটিপিকাল ফাইন্ডিংস (এটিএফ) পদ্ধতিতে টেস্ট করানো হয়েছিল। বাকি ৩১৭ জনকে ‘আউট অফ কম্পিটিশন‘-এর তালিকায় রাখা হয়েছিল। ওই সময় পাকিস্তানের বাহান্ন জন ক্রিকেটার ও বাংলাদেশের ২৪ জন ক্রিকেটারকেও ডোপ টেস্টে বসানো হয়েছিল, সকলের রেজাল্টই নেগেটিভ এসেছে।