২০১৮ আইপিএলের জন্য় নতুন করে ক্রিকেটারদের নিলামে চড়ানো হবে। বলা হচ্ছে, এবারের প্লেয়ার্স অকশন জৌলুসতায় ২০০৮ সালের উদ্বোধনী অকশনকেও হার মানিয়ে দেবে। নতুন করে অকশন হওয়ার অর্থ আগের কয়েক বছরে অন্য় ফ্র্য়াঞ্চাইজিতে খেলা কোনও ক্রিকেটারকে কেনার জন্য় মোটা টাকার থলি নিয়ে ঝাঁপাতে পারবে অন্য় ফ্র্য়াঞ্চাইজিরা। অবশ্য়ই যে সবচেয়ে বেশি বোলি লাগাবে সেই জিতবে। মোদ্দা কথা সব ক্রিকেটারকে নিলামে তোলার অর্থ হলো, মোটা টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অন্য ফ্র্য়াঞ্চাইজিতে দেখা যাবে দেশি-বিদেশি বহু মহাতারকাকে।
গতমাসে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল বলেছিল, ফ্র্য়াঞ্চাইজিগুলিকে তাদের কেনা ক্রিকেটারদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও, একটা কোটা বেঁধে দেওয়া হবে। নভেম্বরে বৈঠক ডেকে তিন ক্রিকেটার বা প্রয়োজনে পাঁচ ক্রিকেটার রেখে দেওয়ার কথা বলা হবে কোটা মেনে। সেই মতো সবক‘টি ফ্র্য়াঞ্চাইজি তাদের ঘুঁটি সাজাতে বসে পড়েছে। কিন্তু, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এখন যে কথা বলছে, তাতে যেনম খুশির হাওয়া বয়ে এনেছে ফ্র্য়াঞ্চাইজি কর্তাদের জন্য, তেমনই আবার চিন্তাও রয়েছে।
তবে, সরকারিভাবে এখনও কোনও প্রস্তাবের কথা জানায়নি কাউন্সিল। সবই অন্দরমহল থেকে ভাসিয়ে দেওয়া খবর। দশম আইপিএলের পর বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই পুরনো চুক্তির সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন অকশনে তাঁদের বসানোতে কোনও আপত্তি নেই। এদিকে, রাজস্থান রয়্য়ালস ও চেন্নাই সুপার কিংস ফ্র্য়াঞ্চাইজি দু‘বছরের নির্বাসনের সাজা কাটিয়ে আইপিএলে ফিরছে আগামী বছর থেকে। ফলে তা নিয়ে বেশ জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই দুই ফ্র্য়াঞ্চাইজির অনুপস্থিতিতে গুজরাত লায়ন্স ও রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস নামে দু‘টি দল ফ্র্য়াঞ্চাইজি খেলেছিল ২০১৬ ও ২০১৭ আইপিএলে। এবার থেকে তারা আর নেই। বলা হচ্ছিল, কোটার খাতিরে ক্রিকেটার ধরে রাখতে হলে পুরনো টিম মেনে বাতিল হওয়া ওই দুই ফ্র্য়াঞ্চাইজিতে সে সেসময় তাদের যে ক্রিকেটাররা চলে গিয়েছিল, তার থেকে ক্রিকেটার বেছে নিতে পারবে সিএসকে ও রাজস্থান। কিন্তু, রাজস্থান নতুন করে দল গড়তে চায়। আবার সিএসেকে কি করবে, তা এখনও জানায়নি। ধন্দ তৈরি হয়েছে, পুরনো টিম কি করে মানা হবে! আর ক্রিকেটাররাও তাদের পুরনো টিমে খেলতে চাইবেন কি না, সে নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা নেই।
বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, রাজস্থান ও সিএসকে‘র ব্য়াপারটা তারা ভেবে দেখেছে। তিনি জানান, ”রাজস্থান রয়্য়ালস ও চেন্নাই সুপার কিংস‘কে সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু, ক্রিকেটাররা যদি পুরনো টিমে না খেলে নতুন করে অকশনে যেতে চান, সেক্ষেত্রে কাউন্সিল কিছু করতে পারবে না। ফ্র্য়াঞ্চাইজি দু‘টির কিছুই করার থাকবে না।”
বিসিসিআই‘য়ের আধিকারিক আরও জানান, ”খেলোয়াড়দের অপশন দেওয়া হবে, তাঁরা পুরনো টিমে ফিরে যেতে চান, না কি নতুন করে নিলামে যেতে চান! তাঁরাই ঠিক করবেন, যা করার। ফ্র্য়াঞ্চাইজি যদি প্রচুর পরিমাণ টাকার থলি খুলে বসে থাকে, তাহলেও কিছু হবে না। ক্রিকেটারের ইচ্ছেকেই প্রাধান্য় দেওয়া হবে। কোনও ক্রিকেটার যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তিনি নিলামে উঠবেন, তাহলে কেউ তা আটকাতে পারবে না। আবার কেউ যদি নতুন করে চুক্তি করে পুরনো টিমে থেকে যেতে চান, তাহলে থাকবেন।”