“রিঙ্কু ঠিকই করেছিলো…” লাভ জিহাদ নিয়ে পোস্ট করে যশ দয়াল পড়লেন পাকিস্তানী ফ্যান’দের রোষানলে !! 1

সদ্যসমাপ্ত আইপিএলে গুজরাত টাইটান্স জার্সিতে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিলো যশ দয়ালকে (Yash Dayal)। ২৫ বর্ষীয় পেসার খবরের শিরোনামে জায়গা করে নেন গুজরাত (GT) বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) ম্যাচে। উইকেট নিয়ে নিজের দলকে জিতিয়ে নয়, বরং স্নায়ুর চাপ সামলাতে না পেরে প্রায় জেতা ম্যাচ প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিয়ে আলোচনায় কেন্দ্রে জায়গা করে নেন তিনি। শেষ ওভারে কলকাতার প্রয়োজন ছিলো ২৯ রান। এমতাবস্থায় ঐ ম্যাচের অধিনায়ক রশিদ খান (Rashid Khan) বল তুলে দিয়েছিলেন যশ দয়ালের হাতে। প্রথম বলটিতে উমেশ যাদব সিঙ্গল নেওয়ায় ক্রিজে আসেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। উত্তরপ্রদেশ দলে যশের সতীর্থ রিঙ্কু। কিন্তু সেদিন আইপিএলের বাইশ গজে সতীর্থের প্রতি বিন্দুমাত্র করুণাও দেখান নি তিনি। পরপর পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে কলকাতাকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন।

অবিশ্বাস্য ভঙ্গিতে ম্যাচ হারার পর মানসিক ভাবে নাকি ভেঙে পড়েছিলেন যশ দয়াল। পরবর্তী বেশ কয়েকটি ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামতে না দেখে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো যশের (Yash Dayal) ব্যাপারে। হার্দিক খেদের সাথে জানান যে মানসিক ও শারীরিক ভাবে খানিক ভেঙে পড়েছেন যশ। অসুস্থতার কারণে ওজনও কমে গিয়েছে তাঁর। পরে মরসুমের শেষের দিকের ম্যাচগুলিতে তাঁকে মাঠে ফেরায় টাইটান্স (GT) শিবির। উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য পান নি তিনি। আইপিএল শেষ হয়েছে বেশ কিছুদিন হলো, আজ আচমকাই ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। এবার মাঠের পারফর্ম্যান্সের কারণে নয়। বরং সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্ট ছড়িয়ে নেটিজেনদের নিশানায় তিনি।

Read More: IPL-এ দুরন্ত পারফর্ম্যান্সে হৃদয় জিতেছেন রিঙ্কু সিং,শীঘ্রই পাচ্ছেন জাতীয় দলের ডাক !!

ধর্মীয় বিভেদের সমর্থনে যশ, তীব্র কটাক্ষ নেটজনতার-

Yash Dayal | Image: Twitter
Yash Dayal | Image: Twitter

“ধর্মের বেশ মোহ যারে এসে ধরে/ অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে”- রচয়িতার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ থেকে প্রায় শতবর্ষ আগে যে কথা বিশ্বকবি লিখে গিয়েছিলেন তার স্বরূপ আজকের আধুনিক পৃথিবীতে দাঁড়িয়েও টের পাওয়া যাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। ধর্মের নামে হানাহানি চলছে নিরন্তর। মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে রোজ। ধর্মীয় সংকীর্ণতার পাঁকে ডুবে দিশা হারাচ্ছে যুবসমাজ। ২৫ বছরের যশ দয়ালকেও দেখা গেলো সেই ধর্মীয় বিভেদের ফাঁদে পা দিতে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের হেয় করা হয়েছে এমন একটি পোস্ট নিজের ইন্সটাগ্রামের স্টোরিতে শেয়ার করেন তিনি। বর্তমানে ধর্মীয় অস্থিরতার বাতাবরণে একে অপরের ধর্মাচারণকে অসম্মান করার প্রবণতা বাড়ছে নিত্যদিন। নানা বিভেদ সৃষ্টিকারী পোস্টে ছেয়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। তেমনই একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন যশ (Yash Dayal)।

এই ঘটনার পরপর নেটমাধ্যমে সমর্থকদের একাংশের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়েন যশ। ‘একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে কি করে তিনি এই জাতীয় পোস্ট শেয়ার করতে পারেন?’ প্রশ্ন তোলেন অনেকে। গুজরাত টাইটান্স দলে মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), নূর আহমেদ (Noor Ahmed), রশিদ খানের (Rashid Khan) মত ইসলাম ধর্মাবলম্বী ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। তাঁদের সাথে সময় কাটানোর পরেও এহেন ইসলামবিদ্বেষ পুষে রাখার কারণ কি? জিজ্ঞাসা ভাসছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সবচেয়ে বেশী আক্রমণ যশকে করা হয়েছে ওয়াঘা সীমান্তের ওপার থেকে। পাকিস্তানী ক্রিকেট ভক্তরা বলছেন, “রিঙ্কু সিং মাঠে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে ভালোই করেছিলেন।” তবে আক্রমণকে শালীন রাখতে পারেন নি তাঁরাও। একই রকম অন্ধ ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য যশকে উদ্দেশ্য করেও করেছেন অনেকে। যা কখনই কাঙ্ক্ষিত নয়। নেটজনতার রোষানলে পড়ে যশ ছবিটি মুছে দিয়েছেন। তবে এই নিয়ে বিতর্ক আপাতত চলছেই।

দেখে নিন ট্যুইট চিত্র-

https://twitter.com/Rnawaz31888/status/1665603833085526018?s=20

https://twitter.com/PapaBeastX/status/1665625071224799233?s=20

https://twitter.com/KrishBhattach14/status/1665605542130200576?s=20

https://twitter.com/Tanvii333/status/1665615435021139968?s=20

https://twitter.com/ShivanshBohare/status/1665620738802434048?s=20

https://twitter.com/ZohaibKashiff/status/1665608702559133696?s=20

https://twitter.com/KoolCj2/status/1665612830106611712?s=20

https://twitter.com/PrinceM51863293/status/1665619774116642816?s=20

https://twitter.com/aapsekyamtlb/status/1665607534965555201?s=20

https://twitter.com/MahaRaj_001/status/1665619942522380289?s=20

https://twitter.com/iamgs____7/status/1665623668343586819?s=20

Also Read: WTC Final: ফাইনালের আগেই বড় চমক, একাদশে সুযোগ পেলেন ঋষভ পান্থ, বাদ পড়লেন বিরাট কোহলি !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *