ক্রিকেটের আঙিনায় গত দেড় বছর ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) জন্য খুবই কঠিন ছিল। এমনিতেই, ঋষভ পন্থ আগমনে তার প্রিয় উইকেটকিপারের জায়গাটা আগেই হারিয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে জানিয়েছে, দল এখন সামনের কথা ভাবছে। শুধু তাই নয়, যে দলের হয়ে ঋদ্ধিমান সাহা প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন, সেই বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক তাঁর সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এই সবের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয় হল আইপিএল ২০২২-এর মেগা নিলামের প্রথম দিনে তিনি অবিক্রিত ছিলেন।
ঋদ্ধিমান সাহা এখন তার ব্যথার জায়গাগুলি সামনে এনেছেন এবং গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার প্রশংসা করেছেন। সাহা যখন মেগা নিলামের প্রথম দিনে অবিক্রিত হন, গুজরাট টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজি তার ওপর আস্থা দেখিয়ে ১.৯ কোটি টাকাতে তাকে কিনে এয়। এটা সাহার জন্য লাইফলাইনের মতো ছিল। যদিও শুরুতে গুজরাটের হয়ে খুব একটা সুযোগ পাননি সাহা।
পাঁচ ম্যাচ পর সুযোগ পেয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা
উইকেটরক্ষক হিসেবে গুজরাটের প্রথম পছন্দ ছিলেন ম্যাথু ওয়েড যিনি প্রথম কয়েকটি ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে না পারায় সাহার ওপর আস্থা দেখান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। পান্ডিয়া সাহাকে শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেন করতে বলেন। সাহার শুধু এই সুযোগটা দরকার ছিল। প্রথম পাঁচটি লিগ ম্যাচ মিস করার পর, সাহা গুজরাটের হয়ে ১১ ম্যাচে ৩১৭ রান করেন, যার মধ্যে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।
গুজরাট টাইটান্স প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন হয়
সাহা হার্দিক পান্ডিয়াকে তার ফর্মে ফেরার জন্য কৃতিত্ব দেন। গুজরাট তাদের প্রথম প্রচেষ্টায় আইপিএল জিতে নিয়েছে। আর তার আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পান্ডিয়ার অবদানকে কখনই ভুলতে পারবেন না ঋদ্ধি। সাহা বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, “হার্দিক বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দ্বারা ছেড়ে দেওয়া সমস্ত খেলোয়াড়ের প্রতি বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন, যাদের কেউ বিশ্বাস করেনি। আমি অবিক্রীত ছিলাম (মেগা নিলামের প্রথম দিনে), এবং আমি শুরুতে চান্স পাচ্ছিলাম না। তারপর হার্দিন এসে আমাকে বললেন, আপনি একজন ওপেনারের দায়িত্ব নিন।”
হার্দিকের সাহায্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে
সাহা বলেন, “হার্দিকের কথায় আমি আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছি। তিনি আমাকে নিজেকে প্রমাণ করার পূর্ণ সুযোগ দিয়েছেন। তার অবদান কখনও ভোলার নয়। আমি তার আস্থার প্রতিদান দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।” ৩৭ বছর বয়সী বলেছেন যে তিনি হার্দিকের মধ্যে একটি বড় পরিবর্তন দেখেছেন। হার্দিক জানেন কীভাবে সবাইকে যত্ন সহকারে সামলাতে হয়। মাঠে কেউ ভুল করলেও মেজাজ হারাননি তিনি। একজন অধিনায়কের কাজ হল সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের খেলা বোঝা।
Read More: মনীশ পান্ডের স্ত্রীয়ের সৌন্দর্য হার মানাবে বিশ্বসুন্দরীদের! গ্যালারি একাই মাতিয়ে রাখেন এই লাস্যময়ী