WI vs IND: আজ ফ্লোরিডার মাঠে যবনিকা পড়তে চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ভারত (WI vs IND) সিরিজের। এক মাস ব্যপী সফরে টেস্ট, ওডিআই এবং টি-২০, ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই মুখোমুখি হয়েছিলো দুই দল। লাল বলের ফর্ম্যাটে ভারত সহজেই উড়িয়ে দিয়েছিলো প্রতিপক্ষকে। এরপর পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে প্রথম ধাক্কাটা খায় ভারতীয় দল। দ্বিতীয় ম্যাচে বার্বাডজের কেনসিংটন ওভালে হারতে হয় ৬ উইকেটে। এরপর প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে সিরিজ জিতলেও প্রকাশ হয়ে পড়ে দলের ফাঁকফোকর। এরপর টি-২০’র ময়দানেও বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছিলো ভারতকে। গত কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপের পর তরুণদের সুযোগ দেওয়ার যে স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে ভারত, তাও পড়েছে প্রশ্নের সামনে।
সামনেই রয়েছে এশিয়া কাপ এবং একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তার আগে পরীক্ষানিরীক্ষার পথে হেঁটেছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) মত তারকা ব্যাটারদের বাইরে রেখে ঈশান কিষণ (Ishan Kishan), শুভমান গিল-দের মত নতুন মুখদের একাদশে জায়গা করে দিয়েছে বিসিসিআই। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এই স্ট্র্যাটেজি পুরোপুরি ব্যুমেরাং হয়ে ফিরেছে ভারতীয় দলের দিকেই।দ্বিতীয় ওডিআই-তে হারের পর প্রথম দুই টি-২০তেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তারা। একমাত্র তিলক বর্মা ছাড়া টি-২০ সিরিজে ধারাবাহিকতা দেখান নি কেউই। লম্বা সময় দলের বাইরে থাকার পর নিয়মিত সুযোগ দিয়ে দেখা হচ্ছিলো সঞ্জু স্যামসনকে (Sanju Samson)। দলের পতন রোধ করতে ব্যর্থ তিনিও। ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে ফের জাতীয় দলে তাঁর জায়গা পাওয়া নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
Read More: এশিয়া কাপের আগে ঈশ্বর সমীপে রোহিত শর্মা, সাফল্যের খোঁজে তিরুপতি বালাজী দর্শন ভারত অধিনায়কের !!
লাগাতার ব্যর্থতা সঞ্জু স্যামসনের ব্যাটে-

ভারতীয় দলের জার্সিতে বেশ ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে সঞ্জু স্যামসনের (Sanju Samson) ক্রিকেট কেরিয়ার। ২০১৫ সালে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলো কেরলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের। এর পর কেটে গিয়েছে প্রায় আট বছর। কিন্তু দলে নিয়মিত হয়ে উঠতে পারেন নি তিনি। মাঝেমধ্যে গুটিকয়েক ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন। ফের ছেঁটে ফেলা হয়েছে কখনও অফ-ফর্মের দোহাই দিয়ে আবার কখনও কোনো কারণ ছাড়াই।একদিনের ক্রিকেটেও ছবিটা প্রায় একই রকম। ২০২১ সালে অভিষেক হয়েছিলো তাঁর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গুটিকয়েক ম্যাচই খেলার সুযোগ মিলেছে তাঁর। প্রতিভাবান সঞ্জুর (Sanju Samson) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা করছে বোর্ড, এমন অভিযোগে বারবার বিদ্ধ হতে হয়েছে বিসিসিআই-কে। পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হোক তাঁকে,উঠেছে জোরালো দাবী।সঞ্জুর (Sanju Samson) ভাগ্যের চাকা ঘোরা শুরু হয়েছিলো বছরের গোড়ার দিকে।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে সুযোগ দেওয়া হয়েছিলো তাঁকে। কিন্তু চোটের কবলে পড়ায় একটির বেশী ম্যাচ খেলা হয় নি। কপাল ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে (WI vs IND)। ওডিআই এবং টি-২০ দুই সিরিজেই জায়গা দেওয়া হয়েছিলো তাঁকে। দুটি একদিনের ম্যাচে তাঁকে জায়গা দেন কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। প্রথমটিতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়টিতে অর্ধশতক করেন তিনি। এরপর টি-২০ সিরিজের পাঁচ ম্যাচেই তাঁকে রাখা হয়েছিলো প্রথম একাদশে। ওডিআই ও টেস্ট ক্রিকেটে রান করলেও মিডল অর্ডারে ঈশান কিষণের বদলে সঞ্জুতেই আস্থা রাখে ভারত।
কিন্তু একটিতেও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারেন নি তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে করেন যথাক্রমে ১ ও ৮ রান। তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে ব্যাট হাতে নামতে হয় নি তাঁকে। কিন্তু পঞ্চম ম্যাচে ফের ব্যর্থ হলেন তিনি। চাপের মুখে দলকে ডুবিয়ে আউট হলেন ৯ বলে ১৩ রান করে। কেরলের ক্রিকেটারের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন ঈশান কিষণ। দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার পথে ঋষভ পন্থ, কে এল রাহুলও। একঝাঁক উইকেটরক্ষকের প্রত্যাবর্তনের ঠিক আগে স্যামসনের (Sanju Samson) লাগাতার ব্যর্থতা তাঁর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে শীঘ্রই। বিদায় নিতে হবে আন্তর্জাতিক আঙিনা থেকে।