ভারতের ডে নাইট টেস্ট ম্যাচ জেতার পর থেকেই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে বিতর্ক হয়ে চলেছে। ক্রিকেটের প্রাক্তন তারকারা এই পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। শোয়েব আকতার, যুবরাজ সিং, মাইকেল ভন, দিলীপ বেঙ্গসরকার, মার্ক ওয়া, হরভজন সিং, ডেভিড লয়েড আর ইঞ্জামাম উল হকের মতো তারাকারা পিচ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
পিচ নিয়ে আলোচনায় অখুশি অধিনায়ক কোহলি
পিচ নিয়ে চলা আলোচনায় ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি যথেষ্ট অখুশি। তিনি প্রশ্ন করেছনে যে যখন ২০২০-র শুরুতে ভারতীয় দল নিউজিল্যাণ্ড গিয়েছিল আর সেখানে ৩ দিনের ভেতর ২টি টেস্ট ম্যাচ হেরে গিয়েছিল, তখন কেউ কেনো পিচ নিয়ে সমালোচনা করেননি। তিনি মেনে নিয়েছেন যে ভারতীয় দল কোনো কন্ডিশনে পিচের সমালোচনা করে না, কিন্তু বিদেশী দল যখন ভারতে খেলতে আসে তো পিচকে একটা বড়ো বিষয় বানিয়ে দেয়।
আমরা নিউজিল্যাণ্ডে ৩দিনের ভেতর হেরে গিয়েছিলাম, তখন কেনো হয়নি আলোচনা
চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের আগে বিরাট কোহলি নিজের প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, “আমি জিজ্ঞাসা করছি যে আমরা কেনো ম্যাচ খেলি, যাতে সেটা পাঁচ দিনেই শেষ হয়ে যায় বা আমরা জিততে পারি? আমরা নিউজিল্যাণ্ডে তিনদিনের ভেতর হেরে গিয়েছিলাম। সেই সময় কেউ পিচের ব্যাপারে কথা বলেননি। আমাদের মনযোগ নিজেদের শক্তির দিকে থাকে, পিচের দিকে নয়। জরুরী হল আমরা নিজের প্রতি সৎ থাকি”।
আমরা পিচ নিয়ে অভিযোগ করি না
বিরাট কোহলি আগে আরও বলেন, “ভারতীয় দল বিশ্বজুড়ে আলাদা আলাদা উইকেটে ক্রিকেট খেলেছে, কিন্তু কখনও অভিযোগ করেনি। আমার মনে হয় যে স্পিনিং ট্র্যাক নিয়ে যথেষ্ট কথা হচ্ছে। আমাদের মিডিয়ার এটা দেখানোর চেষ্টা করা উচিত যে ভারতে স্পিন ট্র্যাক হয়। আমাদের দলের সফলতার পেছনের কারণ এটাই যে আমরা পিচ নিয়ে অভিযোগ করি না। আমরা সবসময় উন্নত হওয়ার চেষ্টা করি। আমার মনে হয় যে পিচ চেন্নাইতে খেলা হওয়া দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের মতোই হবে, যেখানে স্পিনাররা সাহায্য পাবে। হ্যাঁ, গোলাপী বলে সামান্য প্রভাব পড়েছে আর যা লাল বলের তুলনায় পিচে ড্রপ খাওয়ার পর দ্রুত আসছিল। আমাদের এতে সামঞ্জস্য তৈরি করতে হয়েছে”।