চতুর্থ ইনিংসে ৪২০ রানের পাহাড়প্রমাণ স্কোর তাড়া করা খুবই কঠিন ছিল ভারতের পক্ষে। আর চিপকের পিচ যেভাবে ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছিল, তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে। শেষ অবধি ১৯২ রানে অল আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। ২২৭ রানের দুর্ধর্ষ জয় লাভ করে ইংল্যান্ড। আর এরই সাথে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। অধিনায়ক বিরাট কোহলি মরিয়া প্রচেষ্টা চালালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
ENGLAND WIN!!! 🏴
6️⃣ away wins on the bounce ✅
Second team to win in India since 2️⃣0️⃣1️⃣2️⃣ ✅
First team to win a Test match in Chennai in 2️⃣2️⃣ years ✅Joe Root's England going from strength to strength 💪#INDvENG pic.twitter.com/G91OaUDmUD
— England's Barmy Army (@TheBarmyArmy) February 9, 2021
এদিকে ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের কাছে হেরে নিজেদের উপরেই দোষ দিলেন কোহলি। পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে এসে বিরাট কোহলি বলেছেন, “আমার মনে হয় না প্রথমার্ধে বল হাতে আমরা সেভাবে ওদের উপর কোনও চাপ তৈরি করতে পেরেছিলাম। একটি বোলিং ইউনিট হিসেবে, পেস বোলার এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন, প্রথম ইনিংসে বেশ ভালো ছিলেন কিন্তু আমাদের আরও কিছু রান না দিয়ে চাপ তৈরি করা উচিত ছিল। আমাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং মনোভাব প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল না।”
এদিকে ইংল্যান্ডের প্রশংসা করে বিরাট কোহলি বলেছেন, “ইংল্যান্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা পুরো সময় ধরে টিকে ছিল কিন্তু বোর্ডে বড় রান খাঁড়া করেছিল। ইংল্যান্ড এই টেস্ট ম্যাচে আমাদের তুলনায় অনেক বেশি পেশাদার ও ধারাবাহিক ছিল। আমরা কোনও কিছুই ইংল্যান্ডের থেকে কেড়ে নিতে চাই না যেভাবে ওরা খেলেছে। ইংল্যান্ড তৈরি ছিল এমন পরিস্থিতির জন্য এবং আমাদের তুলনায় অনেক বেশি প্রস্তুত হয়ে এসেছিল।”
এদিকে চতুর্থ ও পঞ্চম বোলার হিসেবে খেলা শাহবাজ নাদিম ও ওয়াশিংটন সুন্দরের বল হাতে খারাপ পারফর্মেন্সকে ডিফেন্ড করেছেন বিরাট। তিনি বলেছেন, “আপনি চাইবেন আপনার বোলিং বিভাগ এগিয়ে আসবে এবং প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করবে। আমরা সেটি করতে পারিনি এবং সেটি ঠিক আছে, প্রয়োগের অভাব মানা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের মানসিকতাকে বোঝাটা আমাদের জন্য সব থেকে জরুরিত। আমার মনে হয় আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করেছিলাম বল হাতে এবং ওদের উপর চাপ তৈরি করেছিলাম। ব্যাট হাতেও আমরা কিছু জিনিস চেয়েছিলাম কিন্তু যে সিদ্ধান্তগুলি আমরা নিয়েছি তাতে আরও একবার পর্যালোচনা করতে হবে। আমরা এমন একটি দল যারা সব সময় শিখতে চায় এবং একটি দল হিসেবে গড়ে উঠছে আর টেস্ট ক্রিকেট খুবই কঠিন।”