দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস ছন্দ দেখালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ধোনির শহরেই অনবদ্য এক ইনিংস উপহার দিলেন কিং কোহলি। ব্যাট হাতে ১২০ বলে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন বিরাট কোহলি। এদিন ১১টি বাউন্ডারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডারি দেখা গিয়েছে কোহলির ব্যাট থেকে। আপাতত বিরাট কোহলি কে কেবলমাত্র একটি ফরমেটে খেলতে দেখা যাচ্ছে। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় লাভ করার পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা করে দিয়েছিলেন কিং কোহলি। মেগা ফাইনালে অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। যার পর দেশের তরুণদের জন্য জায়গা ছেড়েছিলেন তিনি শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নয় চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই অর্থাৎ ইংল্যান্ড সিরিজের ঠিক কয়েকদিন আগেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়ে নেন কোহলি।
ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের রূপরেখা বদলে দেন কোহলি

একসময় ভারতীয় দল ঘরের মাঠে টেস্ট ক্রিকেটে ছিল অপ্রতিরোধ্য। ঘরের মাঠে ভারতের কাছে টেস্ট ম্যাচ জেতা অন্য দলগুলির কাছে স্বপ্ন ছিল সিরিজ তো দূরের কথা। দীর্ঘ বারো বছরে ঘরের মাঠে ভারত কেবলমাত্র দুটি টেস্ট ম্যাচ হেরেছিল। তবে গত এক বছরেই ঘরের মাঠে দুইবার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ভারত। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার মতন অনভিক্ষ দলের কাছে এভাবে লজ্জাজনকভাবে ভারতের পরাজয় মানতে পারছে না ক্রিকেটপ্রেমীরা। যে কারণেই ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি যেন অবসর তুলে নিয়ে আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন কিং কোহলি ম্যাচ শেষে সাক্ষাৎকারে টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে বড় বয়ান দিয়েছেন তিনি।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার নেওয়ার পর কোহলির সঙ্গে কথাবার্তার ফাঁকে সঞ্চালক হর্ষ ভোগলে প্রশ্ন করেন, “এখন তো তুমি একটাই ফরম্যাটে খেলছে। এ ভাবেই কি তোমায় দেখা যাবে?” আসলে ভারতীয় ও টেস্ট দলের পরিণতি দেখে হয়তো ভোগলে কোহলি থেকে এটাই বার করতে চেয়েছিলেন যে তিনি কি আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে চান ? তবে কোহলি স্পষ্টভাবেই জবাব দিয়ে দেন। সরাসরি কোহলি বলেন, “আগামী দিনেও এভাবেই আমাকে দেখতে পাওয়া যাবে, আমি ক্রিকেটের একটা ফরম্যাটেই খেলছি।”
স্পষ্ট বার্তা দিলেন বিরাট কোহলি

এর আগেও একাধিক খেলোয়াড়কে কেবলমাত্র একটি ফরমেটে খেলতে দেখা গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ খেলোয়াড় এক ফরম্যাটে সফল হতে পারেননি। এরপর কিভাবে নিজেকে প্রতিটি সিরিজ এর আগে প্রস্তুত রাখেন সে বিষয়ে মন্তব্য করে কোহলি বলেছেন, “আমি কখনো মাঠের প্রস্তুতিতে বিশ্বাস রাখি না। আমার কাছে মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়াটাই আসল আমি কঠোর পরিশ্রম করি। যতক্ষণ আমার শরীর সঠিকভাবে কাজ করে এবং মানসিকভাবে তীক্ষ্ণ থাকি ততক্ষণ আমি ঠিক থাকি। ম্যাচের আগের দিন বিশ্রাম নিয়েছিলাম এখন আমার ৩৭ বছর বয়স আমার সেরে ওঠার দিকে নজর রাখাটা জরুরী। এ ভাবেই এত দিন খেলে এসেছি। এখন তো শুধু একটা ফরম্যাটেই খেলি।” কোহলি তার এই সাক্ষাৎকারে বুঝিয়ে দিলেন টেস্ট ক্রিকেটে আর ফিরছেন না তিনি।