TOP 5: "নাইট ওয়াচম্যান" হয়ে মাঠে নেমে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই ৫ ক্রিকেটার, তালিকায় এক ভারতীয় !! 1

TOP 5: নৈশপ্রহরী বা নাইট ওয়াচম্যান ব্যবহার টেস্ট ক্রিকেটের খুব চেনা স্ট্র্যাটেজি। দিন শেষের আগে দলের সেরা ব্যাটারদের উইকেট বাঁচানোর জন্য বাইশ গজে পাঠানো হয় কোনো বোলারকে। যাতে কোনোরকম সেই দিনটা উতরে দেওয়া যায়। নতুন দিনে নতুন উদ্যমে মাঠে নামতে পারেন ব্যাটার’রা। নাইটওয়াচম্যানদের থেকে বড় রানের ইনিংস সাধারণত প্রত্যাশা করেন না কেউই।

কিন্তু ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। সব হিসেবনিকেশ উলটে কখনোসখনো উইকেট বাঁচাতে ক্রিজে নামা সেই নৈশপ্রহরীরাই প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করে তুলে ফেলেন বড় রান। ক্রিকেট ইতিহাসে নৈশপ্রহরীদের ব্যাট থেকে শতরান এমনকি দ্বিশতরানও এসেছে টেস্ট ক্রিকেটে। ইতিহাসের পাঁচ এমন নৈশপ্রহরীর নাম রইলো এই প্রতিবেদনে যাঁরা বড় রানের ইনিংস খেলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন ক্রিকেটদুনিয়ায়।

IPL 2023 | Australia Tour Of India 2023 | Cricket News Today | Fantasy Cricket | ICC T20 World Cup 2024 | ICC ODI World Cup 2023 | ICC Test Championship Final | IND vs AUS | WPL 2023 | Asia Cup 2023 

জেসন গিলেসপি-

Jason Gillespie | ক্রিকেট | image: Gettyimages
Jason Gillespie scored an unbeaten double century as a nightwatchman

চট্টগ্রামের মাঠে বাংলাদেশকে মাত্র ১৯৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া দল। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে ওপেনার ম্যাথু হেডেনের উইকেট হারায় অজি’রা। আর মাঠে নামেন নি দলের সেরা ব্যাটাররা। বাংলাদেশী বোলিং আক্রমণকে সেদিনের মত প্রতিহত করার জন্য মাঠে নামানো হয় পেসার জেসন গিলেসপি’কে (Jason Gillespie)। শেষ অবধি অপরাজিতই থেকে যান গিলেসপি সেইদিন।

IPL 2023 | CSK Squad | KKR Squad | MI Squad | RCB  Squad | SRH Squad | RR Squad | GT Squad | LSG Squad | DC Squad | PBKS Squad | IPL All Team Squad WPL 2023 | Asia Cup 2023

অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং-এর বদলে নামা গিলেসপি’র মধ্যে তার পরদিন যে ব্যাটিং ঈশ্বর স্ব্য়ং ভর করবেন, এমনটা বোধহয় তখনো ভাবেন নি কেউই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তেমনটাই। বাংলাদেশের বোলিং-এর কাছে গিলেসপি’কে (Jason Gillespie) রোখার কোনো উপায় ছিলো না সেদিন। ২৬টি চার ও ২টি বিশাল ছক্কা মেরে শেষ অবধি ২০১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

৪২৫ বল খেললেও একবারের জন্য গিলেসপি’কে (Jason Gillespie) কোনো রকম সমস্যায় ফেলতে পারেন নি বাংলাদেশী বোলাররা। ‘মিস্টার ক্রিকেট’ মাইক হাসি (Mike Hussey) ১৮২ রানের ইনিংস খেললেও তা চাপা পড়ে যায় গিলেসপি’র দ্বিশতরানের কাছে। ক্রিকেটের ইতিহাসে কোনো নৈশপ্রহরীর এটাই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। কেরিয়ারে ৭১ টেস্টে ২৫৯ উইকেট নিয়েছেন গিলেসপি। কিন্তু তাঁর বাইরেও বাংলাদেশের মাঠে খেলা অসামান্য ইনিংসটির জন্য তাঁকে মনে রেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব।

মার্ক বাউচার-

MArk Boucher | ক্রিকেট . image: twitter
South Africa’s Mark Boucher scored a century against Zimbabwe as a nightwatchman

১৯৯৯ সালে নৈশপ্রহরী হিসেবে শতরান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী উইকেটরক্ষক মার্ক বাউচারও (Mark Boucher)। ১০২ রানে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। প্রোটিয়ারা প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে এরপর। শেষবেলায় উইকেট পড়ায় জন্টি রোডস নয়, বরং মার্ক বাউচারকে তুলে আনা হয় ব্যাটিং অর্ডারে। দিনের শেষটুকু শুধু কাটিয়ে দেওয়াই নয়, পরদিন টেস্ট শতরান আসে বাউচারের (Mark Boucher) ব্যাট থেকে।

২৩৬ বলে ১৮টি চারের সাহায্যে ১২৫ রান করেন তিনি। জেসন গিলেসপি’র (Jason Gillespie) ২০১ রানের ইনিংসটির আগে পর্যন্ত এটিই কোনো নৈশপ্রহরীর খেলা সর্বোচ্চ রানের ইনিংস বলে গণ্য হত। তবে নাইটওয়াচম্যান বলতে সাধারণত যেমন বোঝানো হয়, ব্যাট হাতে তেমন মোটেই বনয় বাউচারের কেরিয়ার। দীর্ঘদিন প্রোটিয়া জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তিনি।

চোখে আঘাত পেয়ে অসময়ে অবসর নিলেও ১০০০০ এর বেশী আন্তর্জাতিক রান করেছেন তিনি। টেস্ট ও একদিনের ম্যাচ মিলিয়ে শতরান করেছেন ৬টি, অর্ধশতক্ ৬১টি। উইকেটের পিছনে দস্তানা হাতেও বিশ্বের সর্বকালের সেরাদের একজন তিনি।

মার্ক বাউচার-

Mark Boucher | ক্রিকেট | image: getty images
Mark Boucher scored another impressive century against England as a nightwatchman

তালিকায় আরও একবার রয়েছেন মার্ক বাউচার (Mark Boucher)। হারারেতে শতরান করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর ডারবানে শতরান এসেছিলো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। চতুর্থ দিনের পড়ন্ত বেলায় ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিলো বাউচার’কে। ইংরেজ বোলারদের যাবতীয় আক্রমণ সামলে অপরাজিত থেকে সাজঘরে ফেরেন সেইদিন। টেস্টের পঞ্চম দিনে সম্পূর্ণ করেন শতরান।

বাউচারের (Mark Boucher) অনবদ্য ২২০ বলে ১০৮ রানের ইনিংসটি শুধু তাঁর জন্য ব্যক্তিগত মাইলস্টোন তৈরি করে নি, পাশাপাশি নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা করেছিলো প্রোটিয়া শিবির’কে।

টোনি মান-

AL Mann | ক্রিকেট | image: twitter
Aussie leg-spinner Tony Mann scored a brilliant 105 at Perth against Indian in 1977

অ্যান্থনি লংফোর্ড মান, ক্রিকেট বিশ্বে বেশী পরিচিত টোনি মান (AL Mann)  নামেই। ভারতের বিরুদ্ধে নৈশপ্রহরী হিসেবে মাঠে নেমে ম্যাচ জেতানো শতরান করার জন্য ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন অস্ট্রেলীয় লেগস্পিনার । পার্থের মাঠে হচ্ছিলো সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তিন নম্বরে পাঠানো হয় তাঁকে। মদন লাল, বিষেন সিং বেদী, মোহিন্দর অমরনাথ, ভগবৎ চন্দ্রশেখরদের নিয়ে গড়া ভারতীয় বোলিং আক্রমণের যাবতীয় জারিজুরি সামলে ১৬৫ বপ;এ ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন মান। মারেন ১০ টি চার।

শেষমেশ বেদীর বলে উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানির হাতে ক্যাচ দিয়ে মান (AL Mann) ফিরলেও মান বাঁচে নি ভারতের। মানের ১০৫ রানের ইনিংসের সুবাদে চতুর্থ ইনিংসে ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

সৈয়দ কিরমানি-

Syed Kirmani | ক্রিকেট . image: twitter
Indian wicketkeeper batter Syed Kirmani scored a brilliant century against Australia in Mumbai as a nightwatchman

এই তালিকায় একমাত্র ভারতীয় হিসেবে রয়েছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক সৈয়দ কিরমানি (Syed Kirmani) । ১৯৭৯ সালে মুম্বাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমে বড় রানের ইনিংস খেলেছিলেন কিরমানি। দিনের শেষলগ্নে সুনীল গাওস্করের মত কিংবদন্তী ব্যাটারকে হারিয়েছিলো ভারত। ১২৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছিলেন ‘লিটল মাস্টার।’

ব্যাটারদের খানিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই কিরমানিকে পাঠানো হয় যশপাল শর্মা, মোহিন্দর অমরনাথ, কপিল দেবদের মত বড় নামের আগেই। অজি বোলারদের আক্রমণ ভোঁতা করে দিয়ে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন কিরমানি (Syed Kirmani)। মারেন ১৭টি চার। গাওস্কর (Sunil Gavaskar) ও কিরমানির জোড়া শতরানের সুবাদে ভারত তোলে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৪৫৮ রান।

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস’কে ভাঙেন দিলীপ দোশি এবং শিবলাল যাদব। দোষি ৫টি এবং শিবলাল যাদব ৪ উইকেট নেন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে কপিল দেব ৪ টি এবং দিলীপ দোষি নেন ৩ উইকেট। সিরিজের ষষ্ঠ টেস্টটি অস্ট্রেলিয়া হারে ইনিংস ও ১০০ রানে।

Virat Kohli Rohit Sharma | KL Rahul | Ishan Kishan | Hardik Pandya | Rishabh Pant | Kuldeep Yadav | Sourav Ganguly | Ravindra Jadeja | Shreyas Iyer | Yuzvendra Chahal | Smriti Mandhana | Harmanpreet Kaur

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *