IPL-এর ইতিহাসে কলকাতা’র নাইট’রা অন্যতম সফল এক দল। শাহরুখ খান এবং জুহী চাওলা’র মালিকানাধীন কলকাতা নাইট রাইডার্স এই আগে দুইবার আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলেছে। প্রথম কয়েক বছরের ধারাবাহিক ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে কলকাতা প্রথমবার ট্রফির স্বাদ পায় ২০১২ সালে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে। ২০১৪ তে দ্বিতীয় জয় আসে গম্ভীরের হাত ধরেই। তারপর থেকে আবার এলোমেলো হয়েছে পারফর্ম্যান্সের গ্রাফ। ২০২১ সালে ফাইনালে উঠলেও হারতে হয় চেন্নাইয়ের কাছে। ২০২৩ সালে তৃতীয় বারের জন্য কাপ জিততে চাইবেন নাইট’রা। ইতিমধ্যেই নতুন উদ্যমে দল গোছাতে শুরু করেছেন তাঁরা। গুজরাট টাইটান্স থেকে ট্রেডিং পদ্ধতি’তে এনেছেন লকি ফার্গুসন এবং রহমানুল্লাহ গুরবাজ’কে। গতকাল তাদের রিটেনশন এবং রিলিজ তালিকা সামনে আসার পর দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বড় নাম’কে বিদায় জানিয়েছে তাঁরা। এদের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আইপিএল থেকে বিরতি নিয়েছেন। কয়েকজন’কে আবার ছেঁটে ফেলেছে নাইট দল। তবে দল থেকে বিদায় নেওয়া ৩ জন প্রাক্তন নাইট’কে ২০২৩ আইপিএলে মিস করতে চলেছে বেগুনি-সোনালি ব্রিগেড।
প্যাট কামিন্স
২০১৯ সাল’টা প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) কাছে ছিলো দুর্দান্ত। এক ক্যালেন্ডার বছরে ৯৯ টি আন্তর্জাতিক উইকেট পান। আর সেই দুর্দান্ত ফর্মের দৌলতেই ২০২০-তে ভারতের কোটিপতি লীগে পান ১৫ কোটি’র জ্যাকপট। তাঁকে দলে নিতে মরিয়া কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৫ কোটি টাকা খরচ করতেও দ্বিধা করে নি। ২০২২ সালে আরও একটি ‘মেগা’ নিলামে আরও একবার কামিন্সের পেছনে দৌড়ায় কলকাতা। দলে নেয় ৭.২৫ কোটি টাকার বদলে। এর আগেও আইপিএল জয়ী কলকাতা দলের সদস্য ছিলেন কামিন্স। বলা চলে নাইট রাইডার্সের সাথে আলাদাই হৃদ্যতা রয়েছে তাঁর। ২০২৩ আইপিএলের আগে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন কামিন্স। তাই তাঁকে রিলিজ করে দিতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স’কে। তবে কামিন্স’কে ছেড়ে দিলেও তাঁর গতিময় ওভারগুলো’কে মিস করবে নাইট রাইডার্স দল। মূলত বোলার হলেও দলের দরকারে ব্যাট হাতেও অনেক সময় ত্রাতা হয়ে উঠেছেন কামিন্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জোড়া অর্ধশতক রয়েছে তাঁর। এমনকি আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম অর্ধশতক করার রেকর্ড’টিও কে এল রাহুলের সাথে ভাগাভাগি করেছেন তিনি। মাত্র ১৪ বলেই ছুঁয়েছিলেন ৫০ রান। ব্যাটে-বলে কামিন্সের অভাব অনুভব করবে নাইট রাইডার্স।